বুধবার
৭ই মে, ২০২৫
২৪শে বৈশাখ, ১৪৩২

আমরা জনতার পক্ষে সত্য বলি

সারের কোটি কোটি টাকা আত্মসাতে সাবেক এমপি পোটনের বিরুদ্ধে মামলা

Fresh News রিপোর্ট
মে ৭, ২০২৫
১১:৪৩ পূর্বাহ্ণ

১ হাজার ৮৪ কোটি ১ লাখ ৯ হাজার ৪১০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নরসিংদী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কামরুল আশরাফ খান (পোটন)সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (৬ মে) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন—পোটন ট্রেডার্সের মহাব্যবস্থাপক মো. শাহাদত হোসেন (নিপু), মো. নাজমুল আলম (বাদল), উত্তরবঙ্গ প্রতিনিধি মো. সোহরাব হোসেন এবং খুলনা ও নওয়াপাড়ার প্রতিনিধি মো. আতাউর রহমান।

এজাহারে বলা হয়েছে, মেসার্স পোটন ট্রেডার্স ২০২১-২২ অর্থবছরে বিএডিসির সঙ্গে আটটি পৃথক চুক্তির আওতায় রিসিভার ও পরিবহন এজেন্ট হিসেবে ১ লাখ ৮৪ হাজার মেট্রিক টন এমওপি, টিএসপি ও ডিএপি সার আমদানির দায়িত্ব নেয়। এসব সার নির্ধারিত সময়ে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরে পৌঁছালেও কোম্পানিটি তা বিএডিসির গুদামে সরবরাহ না করে আত্মসাৎ করে এবং পরে মিথ্যা তথ্য দিয়ে জানায়, সারের চালান ট্রানজিটে রয়েছে।

দুদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে, মেসার্স পোটন ট্রেডার্সের পক্ষ থেকে ৬টি জাহাজের বিপরীতে ১ লাখ ৩৪ হাজার মেট্রিক টন এমওপি, একটি জাহাজের বিপরীতে ২০ হাজার মেট্রিক টন টিএসপি এবং একটি জাহাজের বিপরীতে ২৮ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার সরবরাহ করা হয়নি। যার আমদানি মূল্য প্রায় ১ হাজার ৮৪ কোটি টাকা।

এই আত্মসাতের ঘটনা তদন্তে বিএডিসি ২০২২ সালের নভেম্বরে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে এবং ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে সেই কমিটি পুনর্গঠন করে। তদন্ত শেষে ২০২৪ সালের মার্চে বিএডিসির চেয়ারম্যান বরাবর জমা দেওয়া প্রতিবেদনে আত্মসাতের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

এদিকে, কামরুল আশরাফ খান (পোটন) ও তার সহযোগীরা বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। এর আগেও গত বছরের ২৬ নভেম্বর ৫৮২ কোটি টাকার সরকারি সার আত্মসাতের আরেকটি মামলায় পোটনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিল দুদক, যার তদন্ত এখনও চলমান।