বুধবার
৭ই মে, ২০২৫
২৪শে বৈশাখ, ১৪৩২

আমরা জনতার পক্ষে সত্য বলি

এসএওসিএলের গ্যাস সরবরাহে দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে দুদক

Fresh News রিপোর্ট
মে ৭, ২০২৫
১১:৪৬ পূর্বাহ্ণ

স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) এলপি গ্যাস সরবরাহ কার্যক্রমে বড় ধরনের অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মেয়াদোত্তীর্ণ ও ভুয়া লাইসেন্সধারী পরিবেশকের মাধ্যমে নিয়মবহির্ভূতভাবে গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছিল।

মঙ্গলবার (৬ মে) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর সহকারী পরিচালক সাইয়েদ আলমের নেতৃত্বে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় এসএওসিএলের প্রধান কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানের অনুমোদিত ৩৩৬ জন পরিবেশকের মধ্যে অন্তত ৫৭ জনের লাইসেন্সের মেয়াদ বহু আগেই শেষ হয়েছে। তবুও তারা নিয়মিত এলপি গ্যাস সরবরাহ করে আসছেন।

বিশেষভাবে আলোচিত দুটি পরিবেশক—‘মেসার্স ডি ভি গ্যাস’ ও ‘মেসার্স সাগরিকা এজেন্সি’—যাদের লাইসেন্স যথাক্রমে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর ও ২০২৩ সালের মার্চে শেষ হয়েছে, এখনো সক্রিয়ভাবে সরবরাহ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। নিয়ম অনুযায়ী, মেয়াদোত্তীর্ণ লাইসেন্সধারীরা গ্যাস বিক্রি করতে পারে না।

দুদক কর্মকর্তারা জানান, একজন অথরাইজড পারসনের নামে ৮০টি প্রতিষ্ঠানের পরিবেশক অনুমোদন রয়েছে, যা অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক। প্রতিষ্ঠানটির কোনো স্পষ্ট ডিলারশিপ নীতিমালাও দাখিল করা হয়নি।

এসব অনিয়মের পেছনে প্রতিষ্ঠানের সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক (বিক্রয়) আবদুল সালাম মীরের নাম উঠে এসেছে। তদন্ত কমিটি তার কাছে নথিপত্র চাইলেও তিনি কোনো সহযোগিতা করেননি।

তবে বর্তমান কর্তৃপক্ষ কিছু সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে এবং অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটিও গঠন করেছে। এখনও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়ম করপোরেশন (বিপিসি) থেকে কোনো নির্দেশনা পাওয়া না গেলেও সব রেকর্ড যাচাই করে বিস্তারিত প্রতিবেদন তৈরি করা হচ্ছে। দুদক মনে করে, গ্যাস সরবরাহে অনিয়মের মূল উৎস বিক্রয় বিভাগই।