মিয়ানমার থেকে গত কয়েক মাসে বাংলাদেশে প্রায় ৬০ হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে। এদের বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের আওতায় আনতে জাতিসংঘসহ পশ্চিমা দেশগুলো চাপ দিলেও, সরকার এখন পর্যন্ত “ধীরে চলো” নীতি অনুসরণ করছে। তবে নতুন করে নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু করার বিষয়ে আলোচনা চলছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত রোহিঙ্গাবিষয়ক জাতীয় টাস্কফোর্সের বৈঠকে এই ৬০ হাজার রোহিঙ্গার বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, বিষয়টি আরও পর্যালোচনা করে পরবর্তীতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এবং জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) এই প্রক্রিয়ায় সরকারকে সহযোগিতা করছে।
রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং অন্যান্য সংস্থাকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থাকতে বলা হয়েছে। তবে রাখাইন রাজ্যের ক্রমবর্ধমান সংঘাত এবং আরাকান আর্মির দখল কার্যক্রমের ফলে নতুন করে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
২০১৭ সালের পর থেকে মিয়ানমারে সেনা অভিযানের ফলে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। বর্তমানে বাংলাদেশে রোহিঙ্গার সংখ্যা ১৩ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে।