শুক্রবার
৩১শে জানুয়ারি, ২০২৫
১৭ই মাঘ, ১৪৩১

আমরা জনতার পক্ষে সত্য বলি

ড. ইউনূসের সরকারের মধুচন্দ্রিমা শেষ, চাপ বাড়ছে সংস্কার ও নির্বাচনী প্রক্রিয়ায়

Fresh News রিপোর্ট
জানুয়ারি ৩১, ২০২৫
১১:৫৭ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সাড়ে পাঁচ মাস পার করার পর সরকার এখন নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে মনে করছে বেলজিয়ামভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ (আইসিজি)। গতকাল প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানিয়েছে, প্রথমদিকের ইতিবাচক পরিবেশ এখন চাপ ও অনিশ্চয়তায় রূপ নিচ্ছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকার এখন জনগণের চাপের মুখে রয়েছে। প্রতিশ্রুত সংস্কার বাস্তবায়নের পাশাপাশি শাসন ব্যবস্থার উন্নতির জন্যও জনগণের প্রত্যাশা বেড়েছে। বিশেষ করে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক ও রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান ক্রমেই উত্তপ্ত হচ্ছে। বিএনপি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের তফসিল চাইলেও ড. ইউনূস বলেছেন, ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যদিও এতদিন পর ভোট হলে রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

নির্বাচনী প্রক্রিয়া কীভাবে পরিচালিত হবে এবং ভোটের পর পরিস্থিতি কেমন হবে, তা এখনও অনিশ্চিত। ইতোমধ্যে ড. ইউনূস সংবিধান সংস্কার ও নির্বাচনী ব্যবস্থার উন্নয়নে বেশ কয়েকটি কমিশন গঠন করেছেন। জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে চারটি কমিশন অন্তর্বর্তী সরকারকে তাদের প্রতিবেদন দিয়েছে, যেখানে ব্যাপক রাজনৈতিক সংস্কারের সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া ড. ইউনূস নিজেই আরেকটি কমিশনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, যা রাজনৈতিক দল ও সামাজিক শক্তির সঙ্গে আলোচনা করবে।

আইসিজি মনে করছে, আওয়ামী লীগের অনুপস্থিতিতে বিএনপি এখন দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে এবং অনেকেই তাদের ‘প্রত্যাশিত সরকার’ হিসেবে দেখছেন। তবে অতীতে ক্ষমতায় থাকাকালীন দলটির স্বৈরাচারী মনোভাব নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের মূল লক্ষ্য বাংলাদেশকে আবারও একদলীয় বা কর্তৃত্ববাদী শাসনের দিকে ঠেলে দেওয়া বন্ধ করা।

অর্থনৈতিক দিক নিয়েও প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়েছে। আইসিজি বলছে, বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে নেওয়া পদক্ষেপগুলোর সুফল পেতে জনগণকে আরও অপেক্ষা করতে হবে। পাশাপাশি ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক টানাপড়েন এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে অনিশ্চয়তা নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য আগামী সময়টি আরও কঠিন হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি।