দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) পুরনো বেশ কিছু আলোচিত মামলার পুনঃতদন্ত শুরু করতে যাচ্ছে। এদের মধ্যে রয়েছে পদ্মা সেতু দুর্নীতি মামলাসহ বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটার নির্মাণ, মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান ক্রয় এবং ফ্রিগেট ক্রয়ের মতো হাই-প্রোফাইল কেস। শেখ হাসিনার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ থাকা এসব মামলার নথি পর্যালোচনা ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে।
দুদকের একটি সূত্র জানিয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগসহ মেগা প্রকল্পের দুর্নীতির বিষয়ে নতুন করে অনুসন্ধান চলছে। পাশাপাশি, আগের মামলাগুলোর বিতর্কিত নিষ্পত্তি নিয়েও তদন্ত হবে। বিশেষ করে, পদ্মা সেতুর দুর্নীতি ষড়যন্ত্র মামলা এবং বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটার নির্মাণসংক্রান্ত মামলাগুলো অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
২০১২ সালে করা পদ্মা সেতুর দুর্নীতি মামলা সম্পর্কে দুদক কর্মকর্তারা বলেছেন, তদন্তে প্রমাণের অভাবে কানাডীয় প্রকৌশল সংস্থার কর্মকর্তাসহ সব আসামিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। তবে নতুন তথ্যের ভিত্তিতে আবার তদন্ত শুরু হতে পারে।
২০০২ সালে দায়ের করা বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটারের দুর্নীতি মামলাগুলো, যেখানে শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততা সন্দেহ করা হয়েছিল, সেগুলোও পুনরায় আলোচনায় এসেছে। আগের তদন্তে অভিযোগগুলো অসৎ উদ্দেশ্যে করা বলে আদালত পর্যবেক্ষণ দিয়েছিল।
দুদকের সূত্রে জানা গেছে, মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান ও ফ্রিগেট ক্রয় সংক্রান্ত মামলাগুলোতেও রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ রয়েছে। একই সঙ্গে মেঘনাঘাট বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং খুলনায় ভাসমান বিদ্যুৎ প্রকল্পের দুর্নীতির মামলাগুলো পুনঃতদন্ত করা হতে পারে।
দুদকের মহাপরিচালক মো. আখতার হোসেন বলেছেন, এসব বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। কমিশনের অনুমোদন পেলে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হবে।