আগামীতে দেশের বিভিন্ন স্থানে বাণিজ্য মেলার আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার (১ জানুয়ারি) সকালে পূর্বাচলের বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে ২৯তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এই ঘোষণা দেন।
ড. ইউনূস বলেন, ভবিষ্যতে বাণিজ্য মেলা শুধু ঢাকাতেই নয়, বরং দেশজুড়ে অনুষ্ঠিত হবে এবং বিদেশি অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে ঢাকায় একটি কেন্দ্রীয় মেলা আয়োজন করা হবে। তিনি আরও বলেন, উপজেলা থেকে সেরা উদ্ভাবন আনতে পারলে তা হবে প্রকৃত আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা।
তিনি উল্লেখ করেন, “মানুষ মাত্রই উদ্যোক্তা। মানুষ সবসময় নিজের পছন্দ অনুযায়ী কাজ করতে চায়, আর বাণিজ্য মেলা সৃজনশীলতা এবং উদ্যোগকে প্রদর্শন করার এক দুর্দান্ত সুযোগ প্রদান করে। এই সুযোগকে কাজে লাগানো উচিত।”
এছাড়া, এবারের বাণিজ্য মেলায় নতুনত্ব হিসেবে প্রথমবারের মতো অনলাইনে স্টল এবং প্যাভিলিয়ন স্পেস বরাদ্দ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি ই-টিকিটিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, যা আগত দর্শনার্থীদের জন্য সুবিধাজনক হবে। ক্রেতা-দর্শনার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে বিআরটিসির ডেডিকেটেড বাস সার্ভিস ছাড়াও বিশেষ ছাড়ে উবার সার্ভিসও যুক্ত করা হয়েছে।
এছাড়া মেলায়, গণঅভ্যুত্থানের প্যাভিলিয়ন তৈরি করা হয়েছে, যার মধ্যে ‘জুলাই চত্বর’ ও ‘ছত্রিশ চত্বর’ রয়েছে, যা ছাত্র আন্দোলনে আত্মত্যাগকারী মানুষদের সম্মান জানাতে তৈরি করা হয়েছে। তরুণ সমাজকে রপ্তানি বাণিজ্যে উৎসাহিত করার জন্য ইয়ুথ প্যাভিলিয়নও স্থাপন করা হয়েছে।
মেলার লে-আউট প্ল্যান অনুসারে, ৩৬১টি প্যাভিলিয়ন, স্টল, রেস্টুরেন্টসহ বিভিন্ন দেশের উৎপাদক, রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান এবং বিদেশি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানদের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ছাড়াও সাতটি দেশের ১১টি প্রতিষ্ঠান এবারের মেলায় অংশগ্রহণ করছে।
এ মাসব্যাপী বাণিজ্য মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে। তবে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে মেলা রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।