চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এবং তার স্ত্রী শাহীন আক্তার চৌধুরীর বিরুদ্ধে ৩ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ২২ কোটি টাকার সন্দেহজনক ব্যাংক লেনদেনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সম্প্রতি এসব অভিযোগের ভিত্তিতে দুটি মামলা অনুমোদন করেছে।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে ১৮ কোটি ৭৫ লাখ ৯৮ হাজার ৫৮১ টাকা অবৈধভাবে অর্জন করেছেন। তিনি এই অর্থ ২১টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে গোপন করার চেষ্টা করেন। এছাড়া, তার নামে ৯৮ লাখ ৬৭ হাজার ৯৯২ টাকার অসংগতিপূর্ণ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
অন্যদিকে, তার স্ত্রী শাহীন আক্তার চৌধুরী, যিনি গৃহিণী হিসেবে পরিচিত, তিনি তার স্বামীর অবৈধ সম্পদকে বৈধ করার অপচেষ্টা করেছেন। আয়কর নথিতে দেখানো হয়েছে যে, তিনি ৩ কোটি ১৩ লাখ ৭৮ হাজার ৮৯ টাকা ছয়টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে লেনদেন করেছেন এবং অর্থের উৎস গোপন করার জন্য অর্থ স্থানান্তর, হস্তান্তর বা রূপান্তর করেছেন, যা মানি লন্ডারিং সংক্রান্ত অপরাধ বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। শাহীন আক্তারের অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সম্পদ অর্জনের বিষয়টি শনাক্ত হয়েছে।
এই অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক দুটি মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। মামলাগুলিতে মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীকে সহযোগী আসামি এবং শাহীন আক্তার চৌধুরীকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। দুদক সূত্রে নিশ্চিত করা হয়েছে যে, শিগগিরই দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মো. আবদুল্লাহ আল মামুন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করবেন।
অন্যদিকে, দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর আওতায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।