ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি হামলায় গতকাল ভোর থেকে আরও ২১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এই হামলার ফলে গাজার মানুষের মৃত্যুর সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেল, যা চলমান সহিংসতার এক কঠিন অধ্যায় হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এদিকে, লেবাননে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী প্রাণঘাতী বিমান হামলা চালিয়েছে, যার ফলে কিছু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়, ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায়ও ইসরায়েলি আক্রমণ চালানো হয়। সানা এবং হোদেইদাহ ও রাস ইসা বন্দরের মতো গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে।
গাজার পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে, যেখানে হাসপাতালগুলোতে জেনারেটরের জ্বালানি শেষ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা ডক্টরস উইথাউট বর্ডারস (এমএসএফ)। হাসপাতালগুলোর জন্য বিদ্যুৎ সংকট একটি বড় বিপর্যয়ের ইঙ্গিত বহন করছে।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গাজায় ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া হামলায় ৪৬ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন এবং লক্ষাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের যুদ্ধবিরতির আহ্বান সত্ত্বেও, ইসরায়েলি আক্রমণ অব্যাহত রয়েছে। গাজার বাড়িঘর ও অবকাঠামো প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে, যার ফলে প্রায় ২০ লাখ মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন।
বিশ্বের বৃহত্তম মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে রয়েছে গাজা, যেখানে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকট সৃষ্টি হয়েছে। জাতিসংঘের মতে, গাজার ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছেন। এই মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যেই ইসরায়েলি হামলা চলতে থাকায় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে।