পাকিস্তানের নারী শিক্ষা অধিকারকর্মী এবং শান্তিতে নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাই আফগানিস্তানের তালেবান সরকারকে তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, “আফগানিস্তানের তালেবানরা নারীদের মানুষ হিসেবে দেখে না,” এবং মুসলিম বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, তারা যেন এই গোষ্ঠীর নারীবিদ্বেষী নীতির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে চ্যালেঞ্জ জানায়।
মালালা ইউসুফজাই রোববার ইসলামাবাদে আয়োজিত একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এসব মন্তব্য করেন, যেখানে মুসলিম দেশগুলোর নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এই সম্মেলনে তিনি বলেন, “তালেবান নারীদের শিক্ষা এবং কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের সুযোগ বন্ধ করে দেওয়ার মাধ্যমে যা করছে, তাতে ইসলামের কোনো ভিত্তি নেই।” তিনি আরও বলেন, “তালেবান সরকার একটি লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্য তৈরি করেছে এবং যেসব নারী তাদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে কথা বলেন, তাদেরকে মারধর এবং আটক করা হচ্ছে।”
তালেবান গোষ্ঠী আফগানিস্তানে নারীদের ওপর নানা বিধিনিষেধ আরোপ করেছে, যার মধ্যে রয়েছে নারীদের উচ্চশিক্ষা বন্ধ করা, তাদের কাজের সুযোগ সীমিত করা এবং ঘরের বাইরে যাওয়ার জন্য পুরুষ সঙ্গী প্রয়োজনীয়তা। মালালা এসব নীতিকে ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিক ন্যায্যতা হিসেবে তুলে ধরার জন্য তালেবানকে তীব্রভাবে আক্রমণ করেছেন, জানিয়ে বলেছেন, এটি ইসলামের মূল শিক্ষার পরিপন্থী।
এছাড়া, আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতা দখলের পর থেকে তাদের শাসন আমলে নারীদের শিক্ষা কার্যক্রমে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। বর্তমানে আফগানিস্তান বিশ্বের একমাত্র দেশ, যেখানে নারীরা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত।