যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমা করেছেন ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারির ক্যাপিটল হিল দাঙ্গায় জড়িত প্রায় ১৫০০ জনকে। দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পরই তিনি এই সিদ্ধান্ত নেন। ট্রাম্প এদিন মেক্সিকো সীমান্তে জরুরি অবস্থা ঘোষণা, বিদেশি পণ্যের আমদানিতে শুল্ক বৃদ্ধি, এবং বাইডেন আমলের ৭৮টি নির্বাহী আদেশ বাতিলসহ বেশ কিছু বড় পদক্ষেপও নিয়েছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, ক্যাপিটল হিল দাঙ্গার ঘটনায় আটক ব্যক্তিদের ‘রাজনৈতিক বন্দি’ আখ্যা দিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প তাদের ক্ষমা করে দেন। তার শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত সমর্থকরা ডিসি জেলের বাইরে জড়ো হয়ে এই ঘোষণার পর আনন্দ প্রকাশ করেন। শপথ গ্রহণের পর ক্যাপিটল ওয়ান অ্যারেনায় দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, ওভাল হাউসে পৌঁছেই তিনি অভিযুক্তদের মুক্তি দেবেন।
২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি, জো বাইডেনকে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদনের দিন ক্যাপিটল ভবনে হামলা চালায় ট্রাম্প সমর্থকরা। তারা নিরাপত্তা ব্যারিকেড ভেঙে ভবনের ভেতরে প্রবেশ করে এবং কংগ্রেস অধিবেশনে বাধা দেয়। এ সময় স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির কার্যালয়সহ বিভিন্ন অংশে ভাঙচুর চালানো হয়। সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হন, যাদের মধ্যে একজন পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন।
ডেমোক্র্যাটরা এই হামলায় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব তুললেও সিনেটে প্রয়োজনীয় সমর্থন না থাকায় তিনি তখন শাস্তি এড়ান। তবে দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নেওয়ার পর তার ক্ষমার এই সিদ্ধান্ত নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।