বাংলাদেশের মানুষের আস্থা ধরে রাখার দায়িত্ব বিএনপির, কারণ এ দলই যুগপৎ আন্দোলনের সবচেয়ে বড় শক্তি—বুধবার (২৯ জানুয়ারি) ঝিনাইদহে এক কর্মশালায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব বিএনপির কাঁধে বেশি।
তিনি আরও বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন আন্দোলনে যারা শহিদ ও আহত হয়েছেন, তারা রাষ্ট্রীয় মর্যাদা পাবেন। এছাড়া গত ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে যারা গুম-খুন ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, তাদের দলীয় ও রাষ্ট্রীয়ভাবে সহযোগিতা করা হবে।’
তারেক রহমান বিএনপির ৩১ দফা সম্পর্কে নেতাকর্মীদের বলেন, ‘এই দফাগুলো দেশের মানুষের জন্য তৈরি। এগুলো বাস্তবায়ন করা গেলে প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব হবে।’ তিনি স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের প্রধান লক্ষ্য জনগণ। যারা গত ১৫ বছরে চরম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, তাদের বিশ্বাস বিএনপিই পারে দেশকে ভালো অবস্থানে নিয়ে যেতে।’
স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতি নিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘স্বৈরাচারী সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে, যাতে পার্শ্ববর্তী একটি দেশের স্বার্থ জড়িত থাকতে পারে। আমরা স্বাস্থ্য খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেব।’ এছাড়া কোটা ব্যবস্থার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা দলীয়করণ করব না, বরং মেধার মূল্যায়ন করব।’
কর্মশালায় বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালার সভাপতিত্ব করেন ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনা, আর সমাপনী বক্তব্য দেন অধ্যাপক নার্গিস বেগম।