হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নেওয়ার সময় প্রথমে তাকে হাতকড়া না পরানোয় বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা গাড়ি আটকে দেয়। তাদের চাপে পরে পুলিশ বাধ্য হয়ে সাবেক মন্ত্রীকে হাতকড়া পরায়।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাত পৌনে ১১টার দিকে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানা থেকে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা সাবেক মন্ত্রীর বিচার ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দিতে থাকেন। গাড়িতে ওঠানোর পর তারা পুলিশের কাছে জানতে চান, কেন তাকে হাতকড়া পরানো হয়নি। একপর্যায়ে তারা গাড়ি আটকে দিলে পুলিশ বাধ্য হয়ে হাতকড়া পরিয়ে হাসপাতালে নেয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর মহানগরের যুগ্ম সদস্য সচিব রাজিমুজ্জামান হৃদয় বলেন, “এ ঘটনায় আবারও প্রমাণিত হলো, পুলিশের চরিত্র বদলায়নি। একজন অভিযুক্ত অপরাধীকে হাতকড়া না পরানোই তার প্রমাণ।”
হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে জরুরি বিভাগের সামনে দিয়ে বের করা হয় নুরুজ্জামান আহমেদকে। এ সময় ক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা তাকে লক্ষ্য করে ডিম নিক্ষেপ করে এবং বিভিন্ন স্লোগান দেয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে রংপুর মহানগরীর সেন্ট্রাল রোডের একটি গলি থেকে ভাগ্নের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত মাহমুদুল হাসান মুন্না হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মজিদ আলী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আন্দোলনে হামলা, হত্যা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
এ মামলায় আগেও কয়েকজন গ্রেপ্তার হয়েছে। গত ২৮ জানুয়ারি ছাত্রলীগ নেতা আল-আমিন হোসেনকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে ২৭ অক্টোবর নুরুজ্জামান আহমেদের ছোট ভাই শামসুজ্জামান আহমেদ ভুট্টুকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।
এছাড়া, লালমনিরহাট জেলায়ও সাবেক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে আরও আটটি মামলা রয়েছে, যা গত বছরের ৫ আগস্টের পর দায়ের করা হয়।