রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে শুরু হয়েছে দশদিনব্যাপী অষ্টাদশ জাতীয় পিঠা উৎসব। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় জাতীয় পিঠা উৎসব উদ্যাপন পরিষদ ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি যৌথভাবে এ আয়োজন করেছে।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) উৎসবের উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীসহ অন্যান্য অতিথিরা। বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে উৎসবের সূচনা করা হয়। আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত উৎসব চলবে এবং ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এটি উন্মুক্ত থাকবে।
এবারের পিঠা উৎসবে প্রায় ৭০টি স্টলে ২০০ ধরনের পিঠা প্রদর্শিত হচ্ছে। প্রতিদিন মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকছে, যার মধ্যে বয়াতিদের গান, লাঠিখেলা এবং অন্যান্য ঐতিহ্যবাহী পরিবেশনা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ। তিনি বলেন, “একসময় পিঠা উৎসব গ্রামীণ সংস্কৃতির অংশ ছিল, যা এখন শহুরে সংস্কৃতিতেও জায়গা করে নিয়েছে। এভাবেই নতুন ঐতিহ্যের সৃষ্টি হয়।”
নৃত্যগুরু আমানুল হক উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “পিৎজা ও বার্গারের মতো ফাস্টফুডের আধিপত্যে আমাদের ঐতিহ্যবাহী পিঠাপুলি হারিয়ে যাচ্ছে। অভিভাবকদের উচিত সন্তানদের পিঠার ঐতিহ্য সম্পর্কে জানানো।”
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক উমামা ফাতেমা। তিনি বলেন, “গত ১৫ বছরে দেশ থেকে নানা উৎসব হারিয়ে গিয়েছিল, তবে ৫ আগস্টের পর দেশের মানুষ আবার উৎসবের পরিবেশ ফিরে পেয়েছে।”
অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ছিলেন জাতীয় পিঠা উৎসব উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার শাহ আলম। এছাড়া বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সচিব মোহাম্মদ ওয়ারেছ হোসেন ও বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল কামাল বায়জীদও অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।