মঙ্গলবার
৬ই মে, ২০২৫
২৩শে বৈশাখ, ১৪৩২

আমরা জনতার পক্ষে সত্য বলি

ইউক্রেনে সৈন্য পাঠাতে প্রস্তুত যুক্তরাজ্য: স্টারমার

Fresh News রিপোর্ট
ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৫
১২:৩৫ অপরাহ্ণ

ব্রিটেন ও ইউরোপের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজন হলে ইউক্রেনে সৈন্য মোতায়েনের প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে তুরস্কের সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

স্টারমার রোববার ব্রিটিশ সংবাদপত্র ডেইলি টেলিগ্রাফ-এ প্রকাশিত এক লেখায় জানান, রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইউক্রেনকে সহায়তা করতে যুক্তরাজ্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। প্রয়োজনে ব্রিটিশ সেনা মোতায়েনের মাধ্যমেও ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তার সরকার প্রস্তুত বলে তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, “আমি এটি হালকাভাবে বলছি না। আমি গভীরভাবে দায়বদ্ধতা অনুভব করি। যদিও এ ধরনের সিদ্ধান্ত ব্রিটিশ সেনাদের ঝুঁকিতে ফেলতে পারে, তবে ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার যেকোনো ভূমিকা ইউরোপ এবং যুক্তরাজ্যের সামগ্রিক নিরাপত্তা রক্ষায় সহায়ক হবে।”

স্টারমার আরও জানান, ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টার বিষয়ে আলোচনা করতে তিনি সোমবার প্যারিসে অনুষ্ঠিতব্য উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে যোগ দেবেন। একই সঙ্গে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পরিকল্পনাও রয়েছে তার। ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় নিশ্চিত করতে যুক্তরাজ্য একটি বিশেষ ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, “মার্কিন সমর্থন সব সময়ই গুরুত্বপূর্ণ, এবং স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা অপরিহার্য। কারণ, একমাত্র যুক্তরাষ্ট্রই পুতিনকে আবার আক্রমণের পরিকল্পনা থেকে বিরত রাখতে সক্ষম।”

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে ইউক্রেনে ব্যাপক প্রাণহানি ও ধ্বংসযজ্ঞ চলছে। দীর্ঘ প্রায় তিন বছর ধরে চলা যুদ্ধে রুশ বাহিনী দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন ও জাপোরিঝিয়া অঞ্চলের কিছু অংশ দখল করে নিয়েছে, যা ইউক্রেনের মোট ভূখণ্ডের এক-পঞ্চমাংশ। যদিও রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয়ই যুদ্ধক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত তথ্য প্রকাশ করেনি, তবে পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো হতাহতের সংখ্যা কয়েক লাখ বলে অনুমান করছে।