বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ফাঁসি ও যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের রায় দ্রুত কার্যকরের দাবিতে কুষ্টিয়ায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) দুপুর ২টায় কুষ্টিয়া জিলা স্কুল গেটের সামনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে স্কুলটির বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন শহীদ আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ, ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ, জিলা স্কুলের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা।
মানববন্ধনে বরকত উল্লাহ বলেন, “হাইকোর্ট ২০ জনের ফাঁসি ও ৫ জনের যাবজ্জীবন বহাল রেখেছে। আমরা চাই, দ্রুত রায় কার্যকর হোক। দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতকদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দ্রুত ফাঁসি কার্যকর করা হোক, যাতে ভবিষ্যতে আর কোনো বাবা তার সন্তানের লাশ না দেখে।”
আবরারের সহপাঠী ও জিলা স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থীরা বলেন, “আবরার ছিল আমাদের ভাই, আমাদের গর্ব। তার ওপর নির্মম হত্যাকাণ্ডের রায় হলেও দীর্ঘসূত্রতা ও পালিয়ে থাকা আসামিরা আমাদের ক্ষুব্ধ করেছে। গাজীপুরের হাইসিকিউরিটি কারাগার থেকে আসামি মুনতাসির আল জেমির পালিয়ে যাওয়া এবং প্রায় সাত মাস পর তা প্রকাশ্যে আসা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এটা কারা ব্যবস্থাপনার চরম ব্যর্থতা।”
তারা আরও বলেন, “এ মামলার পলাতক আসামিরা হচ্ছে মোর্শেদজামান মণ্ডল জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মুজতবা রাফিদ। শুরু থেকেই তারা পলাতক। সরকারের প্রতি আহ্বান থাকবে, তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করুন।”
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন জিলা স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থী নূর ইসলাম, ফাহাদ, আফজাল, রেদওয়ান, আমির হামজা প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয় ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (EEE) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের মধ্যে অনেকেই বুয়েট ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ছিলেন। ঘটনার পর দেশজুড়ে শুরু হয় প্রতিবাদের ঝড়। বিচারিক আদালত ২০২১ সালে রায়ে ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং পাঁচজনকে যাবজ্জীবন দণ্ড দেন। সম্প্রতি হাইকোর্টও সেই রায় বহাল রেখেছে।