মঙ্গলবার
২২শে এপ্রিল, ২০২৫
৯ই বৈশাখ, ১৪৩২

আমরা জনতার পক্ষে সত্য বলি

স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বাসায় ডাকাতি চেষ্টায় ছদ্মবেশী ‘র‌্যাব সদস্যসহ’ গ্রেপ্তার ৬

Fresh News রিপোর্ট
মার্চ ২৭, ২০২৫
৮:০৭ অপরাহ্ণ

ধানমন্ডির একটি বাড়িতে ‘অভিযান চালানো’ নামে ঢুকে পড়েছিল ২৫-৩০ জনের একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দল। র‌্যাবের পোশাক, ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট, মিডিয়ার মাইকসহ পুরো আয়োজন দেখে প্রথমে অনেকেই ভাবেন আসলেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান চলছে। কিন্তু দ্রুতই ফাঁস হয়ে যায় ডাকাতির কৌশল।

পুলিশ জানায়, বুধবার ভোরে ধানমন্ডির ৮ নম্বর সড়কের একটি বাসায় এই চক্রটি হামলা চালায়। জনতার সহায়তায় প্রথমে চারজন এবং রাতে আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে র‌্যাব লেখা জ্যাকেট, ক্যাপ, মাইক্রোবাস, মোবাইল ফোন, অস্ত্রসদৃশ সরঞ্জাম ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়।

ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার মাসুদ আলম জানান, তারা এম এ হান্নান আজাদ নামে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বাসা টার্গেট করেছিল। ব্যবসায়ীর বাসা ছাড়াও নিচতলায় থাকা এস এম সোর্সিং নামের একটি অফিস এবং অন্যান্য ফ্লোরেও হামলা চালায় তারা। লুটপাট করে নেয় মোট ৩৫ লাখ টাকার বেশি নগদ অর্থ এবং স্বর্ণালঙ্কার।

অভিযান চালাতে এসে তারা প্রথমে সিকিউরিটি গার্ডদের হুমকি দিয়ে গেট ভেঙে প্রবেশ করে। এরপর গার্ড ও কেয়ারটেকারদের বেঁধে ফেলে নিচ থেকে ওপর পর্যন্ত তল্লাশি চালায়। এক পর্যায়ে বাসার মালিককে গাড়িতে তুলে নিয়ে যেতে চাইলেও, ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং চক্রের চার সদস্যকে আটক করে।

গ্রেপ্তারদের মধ্যে রয়েছেন ফরহাদ বীন মোশারফ, ইয়াছিন হাসান, মোবাশ্বের আহাম্মেদ, ওয়াকিল মাহমুদ, আবদুল্লাহ ও সুমন। এদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানিয়েছে, তারা ২৫-৩০ জনের একটি সংঘবদ্ধ ডাকাতদলের সদস্য। পুলিশ আরও জানিয়েছে, চক্রটিতে র‌্যাবের পোশাক পরা সদস্য, ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট, মিডিয়ার লোক, এমনকি সোর্স হিসেবে পরিচিত ছাত্র প্রতিনিধিও ছিল।

এই ঘটনায় ধানমন্ডি থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, পুরো চক্রটি চিহ্নিত করা হচ্ছে এবং বাকিদেরও দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।

ডিএমপির মিডিয়া ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার তালেবুর রহমান জানান, ডাকাতদের ধরতে সহায়তা করা পাঁচজনকে পুরস্কৃত করা হবে এবং ‘অক্সিলিয়ারি ফোর্স’ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে।

পুলিশ আরও জানায়, রোজা ও ঈদকে ঘিরে টহল ও তল্লাশি জোরদার করা হয়েছে। তবে কোনো সন্দেহজনক ঘটনা চোখে পড়লে ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশকে জানানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।