ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রায় আধাঘণ্টার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেন। বৈঠকে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণসহ দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
শফিকুল আলম জানান, বৈঠকটি অত্যন্ত গঠনমূলক ও ফলপ্রসূ ছিল। এতে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের বিষয়টি বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি ভারতের মাটিতে অবস্থান করে তিনি যেসব উস্কানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন, তাও আলোচনায় এসেছে। সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যাকাণ্ড, তিস্তা নদীর পানি বণ্টনসহ দীর্ঘদিনের বিভিন্ন ইস্যুতে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
তবে এসব বিষয়ে ভারতের তরফ থেকে কী প্রতিক্রিয়া এসেছে, সে বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে বাংলাদেশ ত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা। শুরুতে ধারণা করা হয়েছিল, এটি সাময়িক ‘স্টপওভার’। কিন্তু সময়ের সঙ্গে পরিস্থিতির পরিবর্তনে সেটা দীর্ঘমেয়াদি অবস্থানে রূপ নেয়। প্রায় আট মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত তাকে কোনো তৃতীয় দেশে পাঠানো সম্ভব হয়নি।
এই বৈঠক ছিল অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর ইউনূস-মোদির প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক। এর আগে বিমসটেক সম্মেলনের নৈশভোজে দুই নেতার দেখা হয়েছিল এবং তারা ঘনিষ্ঠভাবে কিছু সময় কথাও বলেন।
উল্লেখ্য, ২ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ব্যাংককে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বঙ্গোপসাগরীয় দেশগুলোর আঞ্চলিক সহযোগিতা জোট বিমসটেকের শীর্ষ সম্মেলন। এই সম্মেলনের ফাঁকে অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক বৈঠককে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের একটি নতুন ধাপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।