তিন ঘণ্টার বেশি দেরিতে অবশেষে ঢাকা ছেড়েছে লালমনিরহাটগামী আন্তঃনগর বুড়িমারী এক্সপ্রেস (৮০৯)। ট্রেনটির নির্ধারিত ছাড়ার সময় ছিল সকাল সাড়ে ৮টা, কিন্তু তা প্ল্যাটফর্ম ছাড়ে ১১টা ৫২ মিনিটে।
শনিবার (৫ এপ্রিল) কমলাপুর রেলস্টেশনের ৭ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে লালমনিরহাটের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় ট্রেনটি। নির্ধারিত সময়ের এত বড় দেরিতে যাত্রীরা ভোগান্তির পাশাপাশি ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন। ট্রেনের যাত্রীসংখ্যাও ছিল তুলনামূলক কম।
এর আগে সকাল ১০টা ৩৩ মিনিটে লালমনিরহাট থেকে আগত ট্রেনটি কমলাপুর স্টেশনে এসে পৌঁছায়। যাত্রীদের উঠিয়ে নেওয়ার পর ট্রেনটিকে ওয়াটারিং করে আবারও যাত্রার প্রস্তুতি নেওয়া হয়। তবে কোনো ধরনের ক্লিনিং বা অন্যান্য পরিষেবা দেওয়া হয়নি।
সান্তাহারগামী যাত্রী নয়ন বলেন, “ঠিক সময়ে যাবে ভেবে আগে থেকেই টিকিট কেটেছিলাম। এখন প্রচণ্ড বিরক্ত লাগছে। এই সময়ের মধ্যে তো আমি ঈশ্বরদী বাইপাস পেরিয়ে যেতাম।”
একই ক্ষোভ নাটোরগামী যাত্রী শাহজাহানেরও। তিনি বলেন, “সকালে যে সময় ট্রেন ছাড়ার কথা, তার তিন ঘণ্টা পরও জানি না কখন বাড়ি পৌঁছাবো।”
বগুড়াগামী হেলাল হোসেন ছোট ছেলেকে নিয়ে সকাল সাড়ে ৭টায় স্টেশনে এসেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেন। তার কথায়, “এত আগে এসে লাভ হলো না। ট্রেন কখন ছাড়বে জানি না, ছোট ছেলেকে নিয়ে খুব কষ্ট হচ্ছে।”
ঢাকা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ট্রেনটি ঢাকায় পৌঁছাতে দেরি করায় এর প্রভাব পড়েছে ছাড়ার সময়েও। তবে তারা যাত্রীদের প্রতি দুঃখ প্রকাশ করে দ্রুত সেবা নিশ্চিতের আশ্বাস দিয়েছেন। এই বিলম্বের ঘটনায় যাত্রীরা যেমন বিরক্ত, তেমনি ট্রেনসেবা নিয়ে প্রশ্নও তুলছেন তারা।