সোমবার
২১শে এপ্রিল, ২০২৫
৮ই বৈশাখ, ১৪৩২

আমরা জনতার পক্ষে সত্য বলি

ইইউর সঙ্গে অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা চুক্তি নিয়ে আলোচনায় বাংলাদেশ

Fresh News রিপোর্ট
এপ্রিল ৮, ২০২৫
৯:২৮ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মধ্যে অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা চুক্তি (পিসিএ) নিয়ে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু হতে যাচ্ছে চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে। এই আলোচনার মাধ্যমে দুই পক্ষের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নতুন মাত্রায় পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

১০ ও ১১ এপ্রিল ব্রাসেলসে এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ পক্ষের নেতৃত্ব দেবেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, অন্যদিকে ইইউ’র পক্ষে আলোচনায় থাকবেন এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর পাওলা পামপোলিনি।

বর্তমানে বিদ্যমান ২০০১ সালের সহযোগিতা চুক্তিকে বিস্তৃত করে আধুনিক প্রেক্ষাপটে নবায়ন করতেই পিসিএ আলোচনার সূচনা। এবারের আলোচনায় ৩৫টি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান স্থান পাচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, সুশাসন, মানবাধিকার, জলবায়ু পরিবর্তন, ট্যালেন্ট পার্টনারশিপ, অভিবাসন, এনার্জি, মৎস্য, কৃষি এবং ইন্দো-প্যাসিফিক ইস্যু।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বাংলাদেশ এর মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম দেশ হিসেবে ইইউর সঙ্গে পিসিএ চুক্তিতে প্রবেশ করছে। এই চুক্তির বাস্তবায়নে দেশের ৫৫টি সরকারি সংস্থা একযোগে কাজ করছে।

পররাষ্ট্র সচিব মো. নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, আলোচনার প্রাথমিক অংশ এর আগেই শেষ হয়েছে, এবার মূল দরকষাকষি শুরু হবে। চুক্তিটি বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যকার সম্পর্ক হবে আরও গভীর এবং কাঠামোবদ্ধ।

বিশ্লেষকদের মতে, চুক্তিটি কার্যকর হলে বাংলাদেশ ইউরোপের বাজারে আরও বেশি পণ্য রপ্তানি করতে পারবে, সেই সঙ্গে ইউরোপীয় বিনিয়োগ আকৃষ্ট হবে। পাশাপাশি এই চুক্তি বাংলাদেশের জন্য বৈশ্বিক বাণিজ্য ও কূটনীতিতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।

২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে ব্রাসেলসে আয়োজিত এক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লিয়েন এই চুক্তির ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরুর সিদ্ধান্ত নেন। পরবর্তীতে পরিস্থিতি বিবেচনায় আলোচনা কিছুটা স্থগিত থাকলেও এবার তা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হচ্ছে।

পিসিএ বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশ-ইইউ সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হবে এবং এটি উভয় পক্ষের অর্থনৈতিক ও কৌশলগত স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন কূটনৈতিকরা।