শতভাগ স্বচ্ছতার সঙ্গে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) নিয়োগ নিশ্চিতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে বরগুনা জেলা পুলিশ। প্রতারক চক্রের ফাঁদ থেকে চাকরিপ্রার্থীদের রক্ষা করতে জেলার বিভিন্ন এলাকায় চলছে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ।
আগামী ১৬ থেকে ১৮ এপ্রিল বরগুনায় অনুষ্ঠিত হবে পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষা। এ সময় ঘুষ ছাড়া চাকরি হয় না—এই প্রচলিত ভুল ধারণাকে ভাঙতেই বরগুনা জেলা পুলিশ নিয়েছে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ। অতীতে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ইব্রাহিম নামে এক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে তিন লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া প্রতারক সৈয়দ আহমেদ প্রিন্স ও মনির হোসেন খানকে গ্রেপ্তারের ঘটনার পর থেকে আরও সচেতন হয়েছে পুলিশ প্রশাসন।
এ বিষয়ে বরগুনা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আব্দুল হালিম বলেন, “এই নিয়োগে সম্পূর্ণ পেশাদারিত্বের সঙ্গে দুর্নীতিমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে। কেউ টাকার বিনিময়ে চাকরি দিতে চাইলে বুঝতে হবে সে প্রতারক চক্রের সদস্য।” তিনি আরও বলেন, “চাকরিপ্রার্থীদের অভিভাবকদের উদ্দেশ্যেও বার্তা রয়েছে—সঠিক যোগ্যতা থাকলেই চাকরি হবে, টাকার প্রয়োজন নেই।”
তিনি জানান, যদি কোনো পুলিশ সদস্য নিয়োগে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বরগুনা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে শহরজুড়ে মাইকিং, সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বার্তার মাধ্যমে জনসচেতনতা তৈরি করা হচ্ছে।