রবিবার
৩রা আগস্ট, ২০২৫
১৯শে শ্রাবণ, ১৪৩২

আমরা জনতার পক্ষে সত্য বলি

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সুযোগ এবার হারালে বাংলাদেশ পিছিয়ে যাবে: মির্জা ফখরুল

Fresh News রিপোর্ট
জুলাই ১৯, ২০২৫
৮:১০ অপরাহ্ণ

জনগণের রক্ত আর আত্মত্যাগের বিনিময়ে যে সুযোগ তৈরি হয়েছে, তা আর নষ্ট করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার (১৯ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত ‘গণঅভ্যুত্থানের প্রত্যাশা ও দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আন্দোলনে মানুষ প্রাণ দিয়েছে, সুযোগ এসেছে, কিন্তু দায়িত্বশীলতার অভাবে সেই সুযোগ বারবার হারিয়ে গেছে। এবার যদি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের এই সুযোগ হাতছাড়া হয়, তাহলে বাংলাদেশ দীর্ঘ সময় পিছিয়ে যাবে।

তিনি বলেন, আমরা দায়িত্ববোধ থেকে জোটবদ্ধ হয়েছিলাম, সংগ্রাম করেছি গণতন্ত্রের জন্য। এই সংগ্রামে আমাদের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ষাট লাখ মানুষ মিথ্যা মামলার শিকার, ১৭০০-এর বেশি গুম, সহস্রাধিক নিহত এবং দুই হাজারের বেশি শিশু-কিশোরের প্রাণহানি ঘটেছে। এই ভয়াবহতার মধ্যেও আমরা ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটাতে পেরেছি।

তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, আজ আবার সেই সুযোগ হুমকির মুখে পড়েছে। যারা গণতন্ত্রে ও জনগণের অগ্রযাত্রায় বিশ্বাস করে না, তারা আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে। হত্যা, গুমসহ নানা অপকর্ম বাড়ছে। এসব পরিস্থিতি দায়িত্বশীল রাজনীতিকদের উদ্বিগ্ন করে তুলছে।

সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, সময়ক্ষেপণ করবেন না। বর্তমান সংকটের সমাধান আছে তিনটি বিষয়ে—সংস্কার, সনদ এবং নির্বাচন। একটি গ্রহণযোগ্য রূপরেখা দিয়ে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান প্রধান একজন সৎ ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ব্যক্তি। তাঁর নেতৃত্বে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করা সম্ভব। আলোচনা, সহনশীলতা ও গ্রহণযোগ্যতার ভিত্তিতেই গণতন্ত্রের পথে যাত্রা সম্ভব।

তিনি জানান, জনগণের কাছে ফিরে গিয়ে ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি কল্যাণমুখী রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যেই বিএনপির আন্দোলন। ১৯৭১ সালে যেভাবে স্বাধীনতা চাওয়া হয়েছিল, আজ তেমনি গণতন্ত্রের জন্য মানুষ আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করছে।

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নেতা অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর এবং জেএসডির নেত্রী তানিয়া রব প্রমুখ।