শ্রীলঙ্কান যুবাদের বিপক্ষে গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে দুর্দান্ত শুরু করেও শেষ পর্যন্ত জয়ের বন্দরে পৌঁছাতে পারেনি বাংলাদেশ যুব দল। ওপেনার কালাম সিদ্দিকীর ৯৫ রানের দারুণ ইনিংস এবং একটি ভালো জুটি গড়ার পরও রানআউটের দুর্ভাগ্যে ৭ রানে হেরে যায় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।
লঙ্কানদের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শ্রীলঙ্কা ২২৮ রান সংগ্রহ করে। বিমাথ দিনসারা ১০৬ রানের অনবদ্য সেঞ্চুরিতে দলকে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি এনে দেন। বাংলাদেশের পক্ষে ফাহাদ নেন ৪ উইকেট, আর রিজান হাসান শিকার করেন ৩টি উইকেট।
জয়ের পথে ছিল বাংলাদেশ
২২৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ওপেনার কালাম সিদ্দিকী এবং জাওয়াদ আবরার দলকে দারুণ শুরু এনে দেন। প্রথম উইকেট জুটিতে আসে ৫২ রান। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে জাওয়াদ রানআউট হয়ে বিদায় নেন। এরপর দ্রুত উইকেট হারিয়ে চাপের মুখে পড়ে বাংলাদেশ।
কালামের লড়াই এবং রানআউটের দুর্ভাগ্য
দলের বিপর্যয়ের মাঝেও কালাম সিদ্দিকী একপ্রান্ত ধরে রেখে লড়াই চালিয়ে যান। ১৩৪ বলে ৯৫ রানের ইনিংসে ৮টি চার ও একটি ছক্কা হাঁকান তিনি। তবে রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে তার বিদায়ে ম্যাচের গতি বদলে যায়।
শেষ মুহূর্তের ব্যর্থতা
দেবাশীষ দেবার ৩২ ও ফরিদ হাসানের অপরাজিত ২৪ রানে দল ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও তা যথেষ্ট ছিল না। ৩ বল বাকি থাকতে ২২১ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার ভিহাস থিউমিকা ৩ উইকেট নিয়ে দলের জয়ে বড় ভূমিকা রাখেন।
সেমিফাইনালে বাংলাদেশের আশা অক্ষুণ্ন
যদিও এই হার হতাশার, প্রথম দুই ম্যাচ জেতায় বাংলাদেশ যুব দলের সেমিফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা অটুট রয়েছে। তবে রানআউটের মতো ভুলগুলো ভবিষ্যতে এড়ানোই এখন দলের জন্য সবচেয়ে বড় শিক্ষা।