প্রায় ৭ মাস পর মাঠে ফিরে এনসিএল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে প্রথম ম্যাচে তামিম ইকবাল একদমই সুখকর পারফরম্যান্স দিতে পারেননি। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে সিলেট বিভাগের বিপক্ষে নিজের পুরনো ছন্দে ফিরেছেন বাঁ-হাতি এই ব্যাটার। মাত্র ২৭ বলের মধ্যেই অর্ধশতক তুলে নেন তিনি, যা তার টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে পঞ্চাশতম অর্ধশতক।
তবে দুর্ভাগ্যবশত, তামিম বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৩৩ বল খেলে ৬৫ রান করার পর ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে আউট হন খালেদ আহমেদের বলে। তামিমের বিদায়ের পর চট্টগ্রাম দলের রান গতি হ্রাস পায়, এবং তারা ১০ ওভার শেষে মাত্র ১৪৫ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়।
চট্টগ্রামের ব্যাটিং:
চট্টগ্রামের ইনিংস ছিল তামিমের ব্যাটিং এবং কিছুটা মাহমুদুল হাসান জয় (১৭ বলে ২৯ রান) ও সাব্বির হোসেন সিকদারের (১৫ রান) ইনিংসের ওপর নির্ভরশীল। তবে তামিমের আউট হওয়ার পর দলের আর কেউই ঠিকঠাক ইনিংস স্থাপন করতে পারেননি। ফলে নির্ধারিত ১৫ ওভার শেষে তারা ১৪৫ রান সংগ্রহ করে, যা ছিল খুবই কম স্কোর।
সিলেট বিভাগের বোলিং পারফরম্যান্স:
সিলেট বিভাগের পেসার খালেদ আহমেদ একাই ৪ উইকেট নেন, যা তার দলে সর্বোচ্চ উইকেট ছিল। তোফায়েল আহমেদ ২টি উইকেট নেন, এবং এবাদত হোসেন ও আবু জায়েদ রাহি একটি করে উইকেট শিকার করেন।
তামিমের প্রারম্ভিক রান:
তামিমের প্রথম ম্যাচে রংপুরের বিপক্ষে ১০ বলেই মাত্র ১৩ রান করে ফিরে যান, যা তার প্রত্যাবর্তনের জন্য মোটেও সুখকর ছিল। তবে আজ সিলেটের বিপক্ষে তার পারফরম্যান্স ছিল প্রশংসনীয়, যদিও দলের জন্য তা যথেষ্ট ছিল না।
এর ফলে, চট্টগ্রামের ইনিংস শেষে ১৪৫ রান করা একটি যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং স্কোর হয়ে দাঁড়িয়েছে, এবং তাদের এই ইনিংসে পরাজয়ের সম্ভাবনা বেড়ে গেছে।