কিছুটা সংস্কার না করেই নির্বাচন আয়োজন করা হলে তা ছাত্র-জনতার সঙ্গে অন্যায় হবে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত একটি জাতীয় সংলাপে তিনি এ কথা বলেন। তিনি উল্লেখ করেন, সাম্প্রতিক গণঅভ্যুত্থানে প্রায় দুই হাজার মানুষ শহীদ হয়েছেন এবং আহতদের মধ্যে দুই হাজারেরও বেশি মানুষ এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এর মধ্যে ৩৭ জনের অবস্থা গুরুতর। তিনি বলেন, “পৃথিবীর ইতিহাসে এমন অভ্যুত্থান খুব কমই দেখা গেছে।”
২০০৭ সালের সংস্কারের উদাহরণ টেনে এম সাখাওয়াত বলেন, “তখন আমরা বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছিলাম, কিন্তু পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক সরকার সেগুলো বাস্তবায়ন করেনি। এখন এই সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া না হলে তা আর কখনো সম্ভব হবে না।”
তিনি বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিকে “সেকেন্ড রিপাবলিক অব বাংলাদেশ” হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, “সংস্কারের জন্য সময় এবং ধৈর্যের প্রয়োজন। শুধুমাত্র নির্বাচনের মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান হবে না।” তিনি আরও বলেন, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ এবং রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য উপযুক্ত আইন প্রণয়ন অত্যন্ত জরুরি।
নির্বাচনের আগে মনোনয়ন বাণিজ্য বন্ধের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে তিনি বলেন, “একজন প্রার্থীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের আগে অন্তত তিন বছর দলের পর্যবেক্ষণে থাকতে হবে। পাশাপাশি, রাজনৈতিক দলগুলোর আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করতে হবে এবং প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্য আনতে হবে।”
তরুণ প্রজন্মের রাজনীতিতে অংশগ্রহণের বিষয়ে ব্রিগেডিয়ার সাখাওয়াত বলেন, “তরুণদের রাজনীতিতে আকৃষ্ট করা এবং তাদের নেতৃত্বে সুযোগ দেওয়া বড় রাজনৈতিক দলগুলোর দায়িত্ব। নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের মাধ্যমে তরুণরা ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে।”