ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বর্বর বিমান হামলায় ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে ৩৪টি বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এর ফলে গাজায় নিহতের মোট সংখ্যা প্রায় ৪৫ হাজার ৬০০ জনে পৌঁছেছে, এবং ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে চলতে থাকা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) বার্তাসংস্থা আনাদোলু এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গত ২৪ ঘণ্টায় গাজা উপত্যকাজুড়ে নিরস্ত্র বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে ৩৪টি বিমান হামলা চালিয়েছে। এই হামলায় ৭১ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং বহু মানুষ আহত হয়েছে।
গাজার মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, “ইসরায়েলি সেনাবাহিনী চিকিৎসা এবং বেসামরিক প্রতিরক্ষা দলকে নিহতদের লাশ সরিয়ে নিতে বাধা দিয়েছে, এবং বিশেষ করে গাজা ও উত্তর গাজায় সড়কগুলোতে লাশ ছড়িয়ে রয়েছে।” তারা এ হামলাকে “নৃশংস অপরাধ” বলে অভিহিত করেছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও জাতিসংঘের সংস্থাগুলোকে গণহত্যা বন্ধ করতে তাদের আইনি ও নৈতিক দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারের বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছে। উল্লেখযোগ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজায় অবিরাম বিমান এবং স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে, যার ফলে হাসপাতাল, স্কুল, মসজিদ, শরণার্থী শিবিরসহ হাজার হাজার ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে।
ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখ ফিলিস্তিনি তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন, এবং প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। জাতিসংঘের মতে, গাজায় বর্তমানে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকট চলছে, এবং গাজার অধিকাংশ জনগণ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।