ভোরের কনকনে শীত আর বরফ শিশিরের চাপে যেন অবশ হয়ে যাচ্ছে হাত-পা। তেঁতুলিয়ার দর্জিপাড়া গ্রামের সবজি চাষি আজমির হোসেনের মতো অনেকেই এই শীতের প্রকোপে পড়েছেন। পঞ্চগড় জেলার তাপমাত্রা কয়েকদিন ধরে ৭ থেকে ১০ ডিগ্রির নিচে নেমে আসায় এ অঞ্চলের মানুষ হিমশীতল অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে।
শনিবার সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র জানিয়েছে, তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগের দিন শুক্রবার একই সময়ে তাপমাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি, আর বৃহস্পতিবার রেকর্ড করা হয়েছিল ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ক্রমাগত কমতে থাকা এই তাপমাত্রা মানুষের জীবনে চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি করেছে।
জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, শীতের তীব্রতায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। দিনের বেলায় সূর্য উঠলেও কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া আর ঠান্ডা বাতাসে কাজ করতে সমস্যায় পড়ছেন ভ্যানচালক, দিনমজুর, চা শ্রমিক এবং পাথর শ্রমিকরা। রাতের শীতেও স্বস্তি মিলছে না; লেপ-কম্বলের নিচেও ঠান্ডা যেন কমছেই না।
সবজি চাষি আজমির হোসেন বলেন, “সকালবেলায় ক্ষেতে কাজ করতে এসে দেখি পাতায় পাতায় বরফ জমে আছে। পাতা কাটতে গিয়ে হাত দুইটা যেন অবশ হয়ে আসছে। তবে কাজ তো থামানো যাবে না।”
এদিকে, পথচারী দারাজ আলী এবং আমজাদ হোসেন জানান, “গত দুই দিন ধরে ঠান্ডাটা যেন আরও বেড়েছে। লেপ আর কম্বল দিয়েও গা গরম হচ্ছে না। তাপমাত্রা কত আমরা জানি না, কিন্তু মনে হচ্ছে তাপমাত্রা জিরোর কাছাকাছি চলে গেছে।”
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ জানান, পঞ্চগড়ে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বইছে। এই পরিস্থিতি আরও কয়েকদিন স্থায়ী হতে পারে। মানুষের পাশাপাশি শীতের তীব্রতায় কষ্ট পাচ্ছে গৃহপালিত প্রাণিরাও।