ভারতের যাতায়াত ব্যবস্থার এক নতুন যুগ শুরু হতে যাচ্ছে। দেশের প্রথম সাউন্ডপ্রুফ এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে, যা পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। চলতি বছরেই দিল্লি-দেরাদুন এক্সপ্রেসওয়ে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হবে, যা ঘন জঙ্গলের মধ্য দিয়ে যাতায়াত করবে।
এই এক্সপ্রেসওয়ের সবচেয়ে বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো এর সাউন্ডপ্রুফ প্রযুক্তি। এটি এমনভাবে নির্মিত হবে যে, যানবাহনের শব্দ বা আলো কোনোভাবেই পাশের বনাঞ্চলে পৌঁছাতে পারবে না। রাস্তাটির আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো, এটি এতটাই মসৃণ যে, গাড়ি ঘণ্টায় প্রায় ১২০ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারবে। এছাড়া, সাউন্ডপ্রুফ এক্সপ্রেসওয়ের মধ্যে একটি ১২ কিলোমিটার এলিভেটেড ওয়াইল্ডলাইফ করিডোরও থাকবে, যা বনের উপর দিয়ে চলাচল করবে। এর মাধ্যমে বন্য প্রাণীকে সড়কের শব্দ থেকে সুরক্ষা প্রদান করা হবে।
ওয়াইল্ডলাইফ ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার বিজ্ঞানীরা এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছেন, যার মূল উদ্দেশ্য হলো পরিবহন শব্দের কারণে বন্যপ্রাণীর ওপর নেতিবাচক প্রভাব না পড়া। এক্সপ্রেসওয়ের যাত্রীদের নিরাপত্তাও বিশেষভাবে নিশ্চিত করা হবে, যেখানে দুর্ঘটনা রোধের জন্য বড় বড় রেলিং, জরুরি পরিষেবা এবং ট্রমা সেন্টার থাকবে।
এই সাউন্ডপ্রুফ এক্সপ্রেসওয়ে কেবল যাত্রীদের সুবিধার জন্য নয়, এটি বন্যপ্রাণী ও পরিবেশের জন্যও একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ হিসেবে বিবেচিত হবে।