২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাহী কমিটি ২১ সদস্য বিশিষ্ট। যদিও নির্বাহী কমিটি নীতি নির্ধারণ ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়, তবে ফুটবলের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয় বিভিন্ন স্ট্যান্ডিং ও সাব কমিটির মাধ্যমে, যেখানে সাবেক ফুটবলার, কোচ, সংগঠক ও ফুটবল সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অন্তর্ভুক্ত হন। তবে, সাবেক জাতীয় ফুটবলার ও কোচ শফিকুল ইসলাম মানিক কখনোই বাফুফে’র আনুষ্ঠানিক কোনো কমিটিতে ছিলেন না।
২০২২ সালের বাফুফে নির্বাচন ২৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয়, এবং তার আড়াই মাস পর প্রকাশিত হলো বিভিন্ন স্ট্যান্ডিং কমিটি। সম্প্রতি, শফিকুল ইসলাম মানিককে ডেভেলপমেন্ট কমিটির সদস্য হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, “ফুটবল ফেডারেশনের কোনো কমিটিতে আগে কখনো ছিলাম না। চার দশকের বেশি সময় ফুটবল থেকে জড়িত থেকেও, এটি আমার প্রথম কমিটিতে আসা।”
১৯৭৯ সালে ফুটবলার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করা মানিক নব্বইয়ের দশকে কোচিং শুরু করেন। দুই দশক ধরে কোচ হিসেবে দাপটের সঙ্গে কাজ করেছেন এবং এছাড়াও ডাকসু ক্রীড়া সম্পাদক ও বিভিন্ন ফুটবল আয়োজনে তার সাংগঠনিক দক্ষতা প্রদর্শন করেছেন। ২০২০ সালে বাফুফে নির্বাচনে সভাপতি ও সহ-সভাপতি পদে প্রার্থী হয়ে পরাজিত হন তিনি।
বাফুফের বিভিন্ন কমিটিতে মারুফুল হক, জুলফিকার মাহমুদ মিন্টু, জাকারিয়া বাবুর মতো কোচরা থাকলেও শফিকুল ইসলাম মানিক কখনোই ছিলেন না। তবে, ডেভেলপমেন্ট কমিটির বর্তমান চেয়ারম্যান নাসের শাহরিয়ার জাহেদী তার কমিটিতে শফিকুল ইসলাম মানিককে মনোনীত করেছেন, যা একটি নতুন সংস্কৃতির জন্ম দিয়েছে।
ডেভেলপমেন্ট কমিটির গঠন নিয়ে নানা আলোচনা চললেও, গত কিছু দিন আগে প্রকাশিত অন্যান্য কমিটিগুলোর তুলনায় ডেভেলপমেন্ট কমিটি কিছুটা মানসম্মত মনে হচ্ছে। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, এই কমিটিতে চেয়ারম্যান, কো-চেয়ারম্যান ও সাত সদস্যের অন্তর্ভুক্তি রয়েছে, তবে কো-চেয়ারম্যান এখনো মনোনীত হয়নি।
মিডিয়া কমিটিও সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে, তবে সেখানে কয়েকটি নতুন মুখ দেখা গেছে। সাবেক জাতীয় ফুটবলার সাইফুর রহমান মনি ও জাহিদ হাসান এমিলি পরিচিত মুখ হলেও, বাকি সদস্যরা ফুটবলাঙ্গনে অপরিচিত। বিশেষত, কমিটির সদস্যদের মধ্যে রাশিদ সামিউল ইসলাম, মোবারক হোসেন, গোলাম কবির ও রাহাত মিঠু ফুটবলের জন্য পরিচিত মুখ নয়।
বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে, মিডিয়া কমিটি যেকোনো ফেডারেশনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে, এই কমিটিতে এমন একজন কমিউনিকেশন অফিসারের অভাব রয়েছে, যিনি মিডিয়া সম্পর্কিত কার্যক্রমে যথেষ্ট দক্ষতা সম্পন্ন হতে পারেন।