মঙ্গলবার
২৫শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
১২ই ফাল্গুন, ১৪৩১

আমরা জনতার পক্ষে সত্য বলি

হাওরে ফসলরক্ষা বাঁধের নির্মাণ শেষ হওয়ার আগেই ধস, কৃষকদের উদ্বেগ

Fresh News রিপোর্ট
ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৫
১০:১৯ পূর্বাহ্ণ

সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার দেখার হাওরের ছাইয়া কিত্তা ফসলরক্ষা বাঁধের নির্মাণকাজ শেষ না হতেই ধসে পড়তে শুরু করেছে। ৫৫ নম্বর পিআইসি প্রকল্পের অধীনে নির্মাণাধীন ১২২৫ মিটার বাঁধের বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দেওয়ায় কৃষকদের মধ্যে চরম উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।

গত কয়েকদিন ধরে বাঁধের একাধিক অংশ ভেঙে পড়ছে। কৃষকরা আশঙ্কা করছেন, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে পুরো হাওরের বোরো ফসল মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়তে পারে। স্থানীয় কৃষক ও প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, কয়েক বছর আগে বর্ষা মৌসুমে ড্রেজার মেশিন ব্যবহার করে মহাসিং নদী ও বাঁধের পাশ থেকে বালু উত্তোলন করা হয়েছিল। এর ফলে বাঁধের দুই পাশে ২৭ ফুট গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়। বর্তমানে নদীর পানি কমে যাওয়ায় বাঁধের মাটি ধসে পড়ছে।

কৃষকদের অভিযোগ, বাঁধ নির্মাণের আগে এসব সমস্যা চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হলে এখন এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না। অপরিকল্পিত পানি নিষ্কাশনের কারণে প্রতি বছরই বাঁধে নতুন করে ধস দেখা দেয়।

৫৫ নম্বর পিআইসি কমিটির সাধারণ সম্পাদক আখতার হোসাইন নোমান জানান, ক্ষতিগ্রস্ত অংশ তাদের প্রকল্পের মধ্যে ছিল না, তবে এখন নতুন করে কাজ করতে হবে। অন্যদিকে ৪৯ নম্বর প্রকল্পের সভাপতি সফিকুর রহমান জানান, নদীর পাড়ে গভীর গর্ত হওয়ায় ফাটল দেখা দিয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে পুরো হাওরের ফসল হুমকির মুখে পড়বে।

হাওরপাড়ের কৃষকরা বলছেন, বাঁধ ভেঙে গেলে দেখার হাওরের ফসলহানি হতে পারে, যা কৃষকদের জন্য বড় ধরনের বিপর্যয় ডেকে আনবে। তারা দ্রুত বাঁধের টেকসই উন্নয়ন ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার দাবি জানিয়েছেন।

এদিকে, ৫৩ ও ৫৪ নম্বর প্রকল্পের সাধারণ সম্পাদকরা জানিয়েছেন, বাঁধের সুরক্ষার জন্য গাছের ভল্লি ও জিও ব্যাগ ব্যবহার করা জরুরি, তবে এখনো বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মমিন মিয়া জানান, বাঁধগুলোর অবস্থা পরিদর্শন করা হয়েছে এবং ধস রোধে প্রয়োজনীয় উপকরণের বরাদ্দ অনুমোদিত হয়েছে। ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে।