পবিত্র কোরআনের ১৭তম সূরা, সূরা বনী ইসরাঈল মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। এতে ১১১টি আয়াত রয়েছে, যেখানে আল্লাহ তায়ালা মানুষের জন্য ন্যায়বিচার, বিনয়, শুদ্ধাচার এবং একত্ববাদের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন।
ওজন ও পরিমাপে সঠিকতা
وَ اَوۡفُوا الۡكَیۡلَ اِذَا كِلۡتُمۡ وَ زِنُوۡا بِالۡقِسۡطَاسِ الۡمُسۡتَقِیۡمِ ؕ ذٰلِكَ خَیۡرٌ وَّ اَحۡسَنُ تَاۡوِیۡلًا
“আর মাপে পরিপূর্ণ দাও যখন তোমরা পরিমাপ কর এবং সঠিক দাঁড়িপাল্লায় ওজন কর। এটা কল্যাণকর ও পরিণামে সুন্দরতম।” (সূরা বনী ইসরাঈল, আয়াত : ৩৫)
অহংকার পরিহার
وَ لَا تَمۡشِ فِی الۡاَرۡضِ مَرَحًا ۚ اِنَّكَ لَنۡ تَخۡرِقَ الۡاَرۡضَ وَ لَنۡ تَبۡلُغَ الۡجِبَالَ طُوۡلًا
“আর জমিনে বড়াই করে চলো না; তুমি তো কখনো জমিনকে ফাটল ধরাতে পারবে না এবং উচ্চতায় কখনো পাহাড় সমান পৌঁছতে পারবে না।” (সূরা বনী ইসরাঈল, আয়াত : ৩৭)
আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক না করা
ذٰلِكَ مِمَّاۤ اَوۡحٰۤی اِلَیۡكَ رَبُّكَ مِنَ الۡحِكۡمَۃِ ؕ وَ لَا تَجۡعَلۡ مَعَ اللّٰهِ اِلٰـهًا اٰخَرَ فَتُلۡقٰی فِیۡ جَهَنَّمَ مَلُوۡمًا مَّدۡحُوۡرً
“তুমি আল্লাহর সাথে অন্য কোন উপাস্য নির্ধারণ করো না, তাহলে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে নিন্দিত ও বিতাড়িত হয়ে।” (সূরা বনী ইসরাঈল, আয়াত : ৩৯)
আল্লাহর তাসবিহ পাঠ
تُسَبِّحُ لَهُ السَّمٰوٰتُ السَّبۡعُ وَ الۡاَرۡضُ وَ مَنۡ فِیۡهِنَّ ؕ وَ اِنۡ مِّنۡ شَیۡءٍ اِلَّا یُسَبِّحُ بِحَمۡدِهٖ وَ لٰكِنۡ لَّا تَفۡقَهُوۡنَ تَسۡبِیۡحَهُمۡ ؕ اِنَّهٗ كَانَ حَلِیۡمًا غَفُوۡرًا
“সাত আসমান ও জমিন ও এর মাঝে যা কিছু আছে সব কিছু আল্লাহর তাসবিহ পাঠ করে এবং এমন কিছু নেই যা তাঁর প্রশংসায় তাসবীহ পাঠ করে না; কিন্তু তাদের তাসবিহ তোমরা বুঝ না। নিশ্চয় তিনি সহনশীল, ক্ষমাপরায়ণ।” (সূরা বনী ইসরাঈল, আয়াত : ৪৪)
আখিরাতে বিশ্বাস
وَ اِذَا قَرَاۡتَ الۡقُرۡاٰنَ جَعَلۡنَا بَیۡنَكَ وَ بَیۡنَ الَّذِیۡنَ لَا یُؤۡمِنُوۡنَ بِالۡاٰخِرَۃِ حِجَابًا مَّسۡتُوۡرًا
“আর তুমি যখন কোরআন পড় তখন তোমার ও যারা আখিরাতে ঈমান আনে না তাদের মধ্যে আমি এক অদৃশ্য পর্দা দিয়ে দেই।” (সূরা বনী ইসরাঈল, আয়াত : ৪৫)
এই আয়াতগুলো থেকে শিক্ষা নেওয়া আমাদের দায়িত্ব, যাতে আমরা ন্যায়বিচার, বিনয় ও আল্লাহর প্রতি অবিচল বিশ্বাস বজায় রাখতে পারি।