আমরা যাদের সঙ্গে সময় কাটাই, তারা আমাদের অনুভূতির ওপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। কিছু সম্পর্ক আমাদের আনন্দ ও অনুপ্রেরণা দেয়, আবার কিছু সম্পর্ক আমাদের মানসিক চাপে ফেলে এবং অসুখী করে তোলে। অনেক সময় কারা আমাদের জন্য ভালো নয়, তা বুঝতে দেরি হয়। তবে ধীরে ধীরে কিছু মানুষের আচরণ আমাদের ক্লান্ত করে তুলতে পারে। যদি কোনো সম্পর্কে অস্বস্তি অনুভব করেন, তাহলে কিছু লক্ষণ লক্ষ্য করুন।
সুস্থ সম্পর্ক পারস্পরিক শ্রদ্ধার ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে। যদি কেউ আপনার ব্যক্তিগত জায়গা না দেয়, সবকিছুতে আপনাকেই দায়ী করে, বা আপনার অনুভূতিকে গুরুত্ব না দেয়, তাহলে বুঝতে হবে যে সেই সম্পর্ক আপনার জন্য উপকারী নয়। এমন ব্যক্তি আপনাকে এমন কিছু করতে বাধ্য করতে পারে যা আপনার পছন্দ নয়, যা ধীরে ধীরে আপনাকে মানসিকভাবে অবসন্ন করে তুলতে পারে।
কাউকে সময় দেওয়ার পর আপনি কেমন অনুভব করছেন, সেটিও গুরুত্বপূর্ণ। যদি কারও সংস্পর্শে থাকলে আপনি সবসময় ক্লান্ত, উদ্বিগ্ন বা অসহায় বোধ করেন, তবে এটি সুস্পষ্ট ইঙ্গিত যে সেই সম্পর্ক আপনাকে ইতিবাচক প্রভাব দিচ্ছে না। একটি ভালো সম্পর্ক শান্তি এনে দেয়, কিন্তু নেতিবাচক সম্পর্ক আপনাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
একজন যত্নশীল ব্যক্তি আপনার অনুভূতিকে গুরুত্ব দেবে এবং বোঝার চেষ্টা করবে। যদি কেউ আপনাকে নিয়মিত বলে যে আপনি বেশি আবেগপ্রবণ বা সংবেদনশীল, তাহলে বুঝতে হবে সে আপনাকে সমর্থন করার পরিবর্তে উপেক্ষা করছে। এটি ধীরে ধীরে আপনার আত্মবিশ্বাসে প্রভাব ফেলতে পারে এবং অপ্রয়োজনীয় অপরাধবোধ তৈরি করতে পারে।
গঠনমূলক সমালোচনা উন্নতির জন্য দরকার, তবে যদি কেউ সবসময় নেতিবাচক মন্তব্য করে এবং কোনো উৎসাহ না দেয়, তাহলে সেটি আপনার আত্মসম্মানবোধের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। যদি কেউ সবসময় আপনাকে ছোট করে দেখে বা প্রতিটি বিষয়ে দোষ ধরে, তবে সেটি সুস্থ সম্পর্কের লক্ষণ নয়।
নেতিবাচক মানুষ সবসময় গসিপ, তর্ক বা অপ্রয়োজনীয় নাটকের মধ্যে থাকেন। এই ধরনের সম্পর্ক মানসিক চাপ বাড়িয়ে তোলে এবং আপনাকে ধীরে ধীরে হতাশ করে তুলতে পারে। সুস্থ সম্পর্ক আপনাকে মানসিক স্বস্তি ও সমর্থন দেবে, যেখানে অস্বাস্থ্যকর সম্পর্ক শুধু উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলবে। তাই এসব লক্ষণ দেখলে সম্পর্ক নিয়ে নতুনভাবে ভাবা জরুরি।