ফ্রেশ নিউজ :
সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তির পর থেকেই গুলশান-২-এর ভাড়া বাসা ফিরোজায় থাকছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরলে খালেদা জিয়ার বাড়ির পাশেই একটি বাড়িতে উঠবেন। দলীয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তবে সূত্র বলছে, লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের পর তারেক রহমানের দেশে ফিরে আসা এখন সময়ের ব্যাপারমাত্র। নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হলেই তিনি দেশে ফিরবেন। আর দেশে ফিরে এই বাড়িতেই উঠবেন। এ জন্য বেশ কয়েক মাস আগে থেকেই বাড়িটি প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। তিন বেড, ড্রয়িং, ডাইনিং, লিভিং রুম, সুইমিং পুলসহ আধুনিক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে ওই বাড়িতে। গুলশান–২ গোলচক্কর পেরিয়ে অ্যাভিনিউয়ের শেষ মাথায় ১৯৬ নম্বর বাড়ি।
সাদা রঙের দোতলা বাড়িটি তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমানও লন্ডনে যাওয়ার আগে পরিদর্শন করে গেছেন। বাড়িতে মূল ভবন, সুইমিং পুল ছাড়াও সামনে অনেক খোলা জায়গা রয়েছে।
জানা গেছে, বিচারপতি আবদুস সাত্তার সরকারের সময় দেড় বিঘা জমির ওপর নির্মিত বাড়িটি খালেদা জিয়ার নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। এত বছর বাড়িটি তাঁর নিয়ন্ত্রণে থাকলেও নামজারি করা ছিল না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গত ৪ জুন বাড়িটির নামজারির কাগজ খালেদা জিয়ার হাতে তুলে দেন। আগে বহুজাতিক কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এ বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। ছয় মাস আগে তিনি বাড়িটি ছেড়ে দেন। এরপরই তারেক রহমানের বসবাসের জন্য সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
দলের বিভিন্ন পর্যায়ের সূত্রগুলো জানিয়েছে, জাতীয় নির্বাচনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হলে দেশে ফিরবেন ১৭ বছর ধরে লন্ডনে থাকা বিএনপির এই নেতা। তারেক রহমানের জন্য বাড়িটি প্রস্তুত করা হয়েছে।
এ বাড়ি ছাড়াও ১৯৮১ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সেনানিবাসে প্রায় ৯ বিঘা (২ দশমিক ৭২ একর) জমির ওপর নির্মিত আরেকটি বাড়ি খালেদা জিয়ার নামে বরাদ্দ দেন। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর খালেদা জিয়ার সেনানিবাসের বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার জন্য প্রথমে নোটিশ, পরে আদালতের মাধ্যমে উচ্ছেদ করা হয়।
২০১০ সালের ডিসেম্বরে শহীদ মঈনুল হোসেন রোডের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ হওয়ার পর খালেদা জিয়া কিছুদিন ভাই শামীম এস্কান্দারের বাড়িতে ছিলেন। ২০১২ সালের ২১ এপ্রিল ‘ফিরোজা’য় ওঠেন তিনি। ওয়ান-ইলেভেন সরকারের সময় ২০০৭ সালের ৭ মার্চ তারেক রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর জামিনে মুক্তি পেয়ে ১১ সেপ্টেম্বর চিকিৎসার জন্য সপরিবারে লন্ডন যান তিনি। তখন থেকেই সেখানেই অবস্থান করছেন তারেক রহমান। লন্ডনে থাকাকালে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান তারেক রহমান।