প্রস্তাবিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে প্লাস্টিক শিল্পকে উপেক্ষা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিপিজিএমইএ)। সংগঠনটি আশা প্রকাশ করেছে, সরকার তাদের প্রস্তাবগুলো পুনর্বিবেচনা করে এই শিল্পের বিকাশে সহায়ক নীতি প্রণয়ন করবে।
বুধবার রাজধানীর বিপিজিএমইএ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি শামীম আহমেদ বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকটে প্লাস্টিক শিল্পের অন্তত ২০ শতাংশ কারখানা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কোভিড-১৯ ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কা কাটিয়ে না উঠতেই ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ নতুন করে শঙ্কা তৈরি করেছে। এতে এলএনজিসহ কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, যা আবারও এই খাতকে ক্ষতির মুখে ফেলবে।
সংগঠনের দাবি, টেক্সটাইল শিল্পের মতো প্লাস্টিক শিল্পকেও আমদানিতে এক শতাংশ শুল্ক সুবিধা দিলে খাতটি আরও গতিশীল হবে। পাশাপাশি হাউজওয়্যার ও কিচেনওয়্যার পণ্যের ওপর প্রস্তাবিত ১৫ শতাংশ মূসক সাধারণ মানুষের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। এই হার কমিয়ে ৫ শতাংশ করার আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আমদানি করা নিম্নমানের খেলনার ট্যারিফ মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাব আমলে না নেওয়ায় দেশীয় খেলনা শিল্প হুমকির মুখে পড়বে। একইভাবে প্লাস্টিক পণ্যে সম্পূরক শুল্ক কমানোর প্রস্তাব প্রত্যাহার করার দাবি জানানো হয়, কারণ এতে দেশীয় শিল্পের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে।
এছাড়া বলপেনের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাটকে অযৌক্তিক বলে উল্লেখ করে তা প্রত্যাহারের দাবিও জানানো হয়েছে।
বিপিজিএমইএ সভাপতি বলেন, সঠিক নীতি সহায়তা পেলে প্লাস্টিক শিল্প দেশের অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই সরকার যেন বাজেট প্রস্তাবগুলো পুনর্বিবেচনা করে প্লাস্টিক খাতকে প্রাপ্য গুরুত্ব দেয়, সেটিই সংগঠনের প্রত্যাশা।