রবিবার
৩রা আগস্ট, ২০২৫
১৯শে শ্রাবণ, ১৪৩২

আমরা জনতার পক্ষে সত্য বলি

বাংলাদেশ পাচ্ছে আইএমএফের দুই কিস্তির ১৩০ কোটি ডলার

Fresh News রিপোর্ট
জুন ২৪, ২০২৫
১০:২৬ পূর্বাহ্ণ

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে বাংলাদেশ একসঙ্গে তৃতীয় ও চতুর্থ কিস্তির মোট ১৩০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ পাচ্ছে, যা শিগগিরই বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে যুক্ত হবে।

এই অর্থ চলমান ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে আসছে। অর্থ বিভাগ ও বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, আইএমএফের নির্বাহী বোর্ড এই অর্থ ছাড়ের অনুমোদন দিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অর্থ দেশের বৈদেশিক মুদ্রা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে ও সামগ্রিক অর্থনীতিতে ভারসাম্য আনতে সহায়ক হবে।

বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে সোমবার রাতে ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত আইএমএফ বোর্ডের বৈঠকের পর। ওই বৈঠকে তৃতীয় ও চতুর্থ পর্যালোচনার প্রতিবেদন উত্থাপন এবং তা অনুমোদনের মাধ্যমে ঋণ ছাড়ের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়।

২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি আইএমএফ বাংলাদেশের জন্য সাড়ে তিন বছরের ঋণ কর্মসূচি অনুমোদন করে। এই ঋণের উদ্দেশ্য ছিল অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীর সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়তা করা।

তৎকালীন সরকারের সময় দেশে বৈদেশিক লেনদেনে ঘাটতি, টাকার মান হ্রাস এবং রিজার্ভে টান পড়ার প্রেক্ষিতে এই ঋণের প্রস্তাব দেওয়া হয়। ঋণ কর্মসূচির আওতায় বর্ধিত ঋণসহায়তা (ইসিএফ) ও বর্ধিত তহবিল সহায়তা (ইএফএফ) মিলিয়ে মোট ৩৩০ কোটি ডলার এবং রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটি (আরএসএফ) বাবদ ১৪০ কোটি ডলার অন্তর্ভুক্ত আছে। এই আরএসএফ তহবিল থেকে বাংলাদেশই এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে অর্থ পেয়েছে।

এর আগে বাংলাদেশ প্রথম কিস্তিতে পেয়েছিল ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার, দ্বিতীয় কিস্তিতে ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার এবং তৃতীয় কিস্তির পূর্ববর্তী অংশ হিসেবে ১১৫ কোটি ডলার। চতুর্থ কিস্তির অর্থ পাওয়ার কথা ছিল ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে, তবে নানা কারণে তা ছয় মাস দেরিতে মিলছে। এখন বাকি রয়েছে আরও ১২৯ কোটি ডলার, যা আরও দুই কিস্তিতে বাংলাদেশ পাবে।