ইরানের পরমাণু কর্মসূচিতে ব্যবহৃত ৪০০ কেজিরও বেশি সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত নয় জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষণ সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি (আইএইএ)।
আইএইএ মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রসি জানিয়েছেন, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সাম্প্রতিক সংঘাতে ইরানের এই ইউরেনিয়াম ধ্বংস হয়েছে কি না, তা সংস্থার জানা নেই। সিবিএসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ১৩ জুন সংঘাত শুরুর সময় ইরানের কাছে প্রায় ৪০০ কেজি ইউরেনিয়াম ছিল, যার বিশুদ্ধতার মাত্রা ছিল ৬০ শতাংশ।
গ্রসি জানান, পারমাণবিক বোমা তৈরিতে প্রয়োজন ৯০ শতাংশ বিশুদ্ধতাসম্পন্ন ইউরেনিয়াম, তবে ৬০ থেকে ৯০ শতাংশে উন্নীত হওয়া খুব কঠিন কাজ নয়। তিনি মনে করেন, ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র যৌথভাবে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ক্ষয়ক্ষতি করলেও দেশটির পরমাণু অস্ত্র তৈরির সক্ষমতা পুরোপুরি ধ্বংস হয়নি।
তার মতে, ইরানের ইউরেনিয়ামের একটি বড় অংশ ছিল ফার্দো পারমাণবিক কেন্দ্রে, যেখান থেকে সংঘাত শুরুর প্রাথমিক পর্যায়ে তা সরিয়ে ফেলা হয়েছিল। গ্রসি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, যদি ইরান ইউরেনিয়াম মজুত রাখতে সক্ষম হয়ে থাকে, তবে তারা কয়েক মাসের মধ্যেই আবার কর্মসূচি চালু করতে পারবে। আর যদি তা ধ্বংস হয়ে থাকে, তবুও তারা নতুনভাবে কাজ শুরু করবে, কারণ পরমাণু বোমা তৈরির কৌশল তারা ভালোভাবেই জানে।