রবিবার হিমাচলে মান্ডিতে বন্যাকবলিত এলাকাগুলি পরিদর্শনে যান বিজেপি সাংসদ কঙ্গনা রানাওয়াত। সব কিছু খতিয়ে দেখার পর বিজেপি সাংসদ এক অদ্ভুত মন্তব্য করে বসেন। যা শুনে রীতিমত হতভম্ব হয়ে পড়েন সকলেই।
অভিনেত্রী-সাংসদ বলেন, তাঁর কোনও মন্ত্রিত্ব নেই এবং দুর্যোগ ত্রাণের জন্য কোনও তহবিলও নেই। তবে তিনি এও জানান যে, কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে আর্থিক সাহায্য পাওয়ার জন্য তিনি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এক সংবাদসংস্থাকে কঙ্গনা বলেন, ‘আমার কাছে দুর্যোগ ত্রাণের জন্য কোনও তহবিল নেই, আর আমি কোনও মন্ত্রিত্বেও নেই। সংসদ সদস্যদের কাজ সাধারণত সংসদ পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকে। আমরা পুরো ব্যবস্থায় খুবই ছোট একটা অংশ। তবে আমি কেন্দ্র থেকে ত্রাণের টাকা আনতে সাহায্য করতে পারি।’
কঙ্গনা দাবি করেন যে, তিনি সাধারণ মানুষের পাশে রয়েছেন। এমনকী তিনি হিমাচল প্রদেশের কংগ্রেস সরকারকে দায়ী করেন। কারণ তাঁর মতে, সরকার দুর্যোগে মারা যাওয়া, আহত হওয়া বা সর্বহারা মানুষদের কোনও ত্রাণ দেয়নি। বিজেপি সাংসদ বলেন, যারা দায়ী, তারা মুখ লুকিয়ে রাখছে। তারা দুর্নীতি করছে। কেন্দ্রের থেকে যে তহবিল আসবে, তা আমার কাছে বা জয়রাম ঠাকুরের কাছে নয়, ওদের কাছেই যাবে। নীতিনির্ধারণে আমার কিছুটা ক্ষমতা আছে, তবে সেটা রাজ্য বা পঞ্চায়েত স্তরে খুবই কম।
কঙ্গনা রানাওয়াত আরও বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে ত্রাণ সামগ্রী দিয়েছি। যদিও প্রধানমন্ত্রী বিদেশ সফরে আছেন, তবুও তিনি এখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত। একজন সাংসদ হিসেবে, তহবিল আনার ব্যবস্থা করা এবং বাস্তব পরিস্থিতি সরকারকে জানানো আমার দায়িত্ব। উল্লেখ্য, কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কঙ্গনার মান্ডি লোকসভা এলাকায় অনুপস্থিতি নিয়ে কটাক্ষ করার পরই তিনি সেখানে যান।