শুক্রবার
২৪শে জানুয়ারি, ২০২৫
১০ই মাঘ, ১৪৩১

আমরা জনতার পক্ষে সত্য বলি

দক্ষিণ কোরিয়ায় ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা, আরও ১৭৯ মৃতদেহ উদ্ধার

Fresh News রিপোর্ট
ডিসেম্বর ২৯, ২০২৪
৩:২১ অপরাহ্ণ

 

দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ১৮১ আরোহীসহ একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭৯ জনে। এই দুর্ঘটনায় প্রাণে বেঁচে গেছেন মাত্র ২ জন।

রোববার (২৯ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সকালে ব্যাংকক থেকে আসা জেজু এয়ারের বোয়িং ৭৩৭ ফ্লাইটটি অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে পাশের দেয়ালে আঘাত করলে এটি বিধ্বস্ত হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম ইয়োনহাপ ও ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য মিরর জানায়, দুর্ঘটনায় প্লেনটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় এবং এতে আগুন ধরে যায়।

দুর্ঘটনার কারণ:
দক্ষিণ কোরিয়ার ন্যাশনাল ফায়ার এজেন্সি জানায়, পাখির সঙ্গে সংঘর্ষের ফলে বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ারে সমস্যা দেখা দেয়। রানওয়েতে নামার সময় চাকা কাজ না করায় বিমানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, বিমানটি “বেলি ল্যান্ডিং” (ল্যান্ডিং গিয়ার ছাড়াই) করার চেষ্টা করছিল।

উদ্ধার তৎপরতা:
দুর্ঘটনার পর উদ্ধারকর্মীরা জীবিত দুইজনকে ধ্বংসস্তূপ থেকে বের করতে সক্ষম হন। বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের একজন যাত্রী এবং অন্যজন ক্রু সদস্য বলে জানা গেছে। ঘটনাস্থলে দমকল কর্মীরা উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে অধিকাংশ আরোহী আগুন এবং ধ্বংসস্তূপে প্রাণ হারিয়েছেন।

আরোহীদের পরিচয়:
বিমানে ১৭৩ জন দক্ষিণ কোরিয়ার এবং ২ জন থাইল্যান্ডের নাগরিক ছিলেন। এ ছাড়া ছয়জন ক্রু সদস্য ছিলেন।

প্রতিক্রিয়া ও পদক্ষেপ:
দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট চোই সাং-মোক উদ্ধার কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। দুর্ঘটনার কারণ তদন্তে জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে।

পরিস্থিতি:
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ও ছবি অনুযায়ী, বিধ্বস্ত হওয়ার পর বিমানটি থেকে বিশাল কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠতে দেখা যায়। বিধ্বস্ত হওয়ার মুহূর্তে যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে আল্লাহর নাম স্মরণ করছিলেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।

এটি দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে।