বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে ২০২৫ সালের হজ চুক্তি রবিবার (১২ জানুয়ারি) সৌদি আরবের জেদ্দায় স্বাক্ষরিত হয়েছে। স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উভয় দেশের প্রতিনিধি ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের পক্ষে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন এবং সৌদি আরবের পক্ষে দেশটির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রী তৌফিক বিন ফাওজান আল রাবিয়াহ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এসময় ধর্ম উপদেষ্টা বাংলাদেশের হজ ব্যবস্থাপনার সামগ্রিক অগ্রগতি এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন।
আলোচনার সময় বাংলাদেশের ধর্ম উপদেষ্টা সৌদি মন্ত্রীর কাছে এজেন্সি প্রতি হজযাত্রীর ন্যূনতম কোটা এক হাজার থেকে কমানোর অনুরোধ করেন। তবে সৌদি হজ মন্ত্রণালয় কোটা এক হাজারই বহাল রাখার সিদ্ধান্ত জানায়। এর আগে, ২০২৪ সালের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কোটা দুই হাজার থেকে কমিয়ে ২৫০ জন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সৌদি সরকার তা বিবেচনা করে ২০২৫ সালের জন্য কোটা দুই হাজার থেকে এক হাজারে নামিয়ে আনে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ধর্ম সচিব এ কে এম আফতাব হোসেন প্রামানিক, হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মতিউল ইসলাম, সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত দেলোয়ার হোসেন, কনসাল জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ মাইনুল কবির, কাউন্সিলর (হজ) মো. জহিরুল ইসলামসহ আরও অনেকে।
সৌদি আরব ও বাংলাদেশের এ চুক্তির মাধ্যমে ২০২৫ সালের হজ ব্যবস্থাপনায় নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে এজেন্সি প্রতি ন্যূনতম কোটা নিয়ে আলোচনা ভবিষ্যতে আরও গুরুত্ব পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।