সংবিধান সংস্কার কমিশন ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের জনআকাঙ্ক্ষা এবং ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের মহান আদর্শের প্রতিফলন হিসেবে “সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার, বহুত্ববাদ ও গণতন্ত্র” সংবিধান ও রাষ্ট্রের মূলনীতি হিসেবে প্রস্তাব করেছে। অধ্যাপক আলী রীয়াজের নেতৃত্বে কমিশন প্রধান উপদেষ্টার কাছে তাদের সুপারিশের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এই সুপারিশগুলো সাতটি প্রধান বিষয়ের উপর ভিত্তি করে সাজানো হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ক্ষমতার ভারসাম্য, প্রধানমন্ত্রী পদের একচ্ছত্র ক্ষমতা হ্রাস, অন্তর্বর্তী সরকার কাঠামো, বিচার বিভাগের বিকেন্দ্রীকরণ, শক্তিশালী স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা এবং মৌলিক অধিকার সুনিশ্চিতকরণ।
কমিশন তাদের প্রতিবেদনে সংবিধানের বিভিন্ন অনুচ্ছেদ সংশোধন এবং নতুন ধারার প্রস্তাব দিয়েছে, যার মধ্যে নাগরিকতন্ত্র, বহুত্ববাদী রাষ্ট্র, মৌলিক অধিকার, এবং আইনি সংস্কারের বিষয়গুলো অন্যতম। আইনের ক্ষেত্রে তারা ভোটাধিকার, শিক্ষার অধিকার, সামাজিক নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও খাদ্যের অধিকার অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করেছে। এছাড়া, দ্ব chambers বিশিষ্ট আইনসভা গঠনের প্রস্তাবও করা হয়েছে, যেখানে ৪০০ সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় সংসদ এবং ১০৫ সদস্য বিশিষ্ট সিনেট থাকবে।
কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী, সংবিধান সংশোধনের জন্য উভয় কক্ষের দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন হবে এবং সংশোধনী প্রস্তাব গণভোটের মাধ্যমে পাশ হতে হবে। এছাড়া, সংবিধানের যে কোনো অপরাধ বা সংশোধনের বিষয় জাতীয় নিরাপত্তার উপর প্রভাব ফেলতে পারে, সে ক্ষেত্রে আইনি অনুমোদনের জন্য উভয় কক্ষের অনুমোদন নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।