জ্যোতিষশাস্ত্র বা গণকবিদ্যা ইসলামিক শরিয়তের দৃষ্টিতে সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ এবং হারাম। আল্লাহ তায়ালা ছাড়া কেউ ভবিষ্যতের খবর জানে না, আর এই বিশ্বাস ইসলামের মৌলিক ধারণা। কুরআন শরীফে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, “নিশ্চয় আল্লাহর কাছেই কেয়ামতের জ্ঞান রয়েছে। তিনিই বৃষ্টি বর্ষণ করেন। গর্ভাশয়ে যা থাকে, তা তিনি জানেন। কেউ জানে না আগামীকাল সে কি উপার্জন করবে এবং কেউ জানে না কোন দেশে সে মৃত্যুবরণ করবে। নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সর্ববিষয়ে অবহিত” (সুরা লুকমান, আয়াত : ৩৪)।
এছাড়া, রাসুল (সা.) বলেছেন, “লোকেরা একবার রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে জ্যোতিষীদের সম্পর্কে জিজ্ঞেস করল। তিনি বললেন, তারা যা বলে তা কিছুই বাস্তব নয়। লোকেরা পুনরায় বলল, হে আল্লাহর রাসুল! তারা কখনো কখনো আমাদের কাছে এমন কিছু বলে, যা সত্য হয়ে যায়। তিনি বললেন, এটা সত্য কথা, যা শয়তান (আসমানের ফেরেশতাদের কথা থেকে) চুরি করে নিয়ে আসে এবং তা তাদের দোসরদের (জ্যোতিষীদের) কানে কানে ফিসফিসিয়ে বলে দেয়। এরপর জ্যোতিষী এটার সঙ্গে একশ মিথ্যা মিশ্রিত করে মানুষের কাছে বর্ণনা করে” (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৭৫৬১)।
যে ব্যক্তি জ্যোতিষী বা গণকের কাছে গিয়ে তাদের কথাকে বিশ্বাস করে, তাকে চল্লিশ দিনের নামাজ কবুল না হওয়ার সতর্কতা দেওয়া হয়েছে (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২২৩০)। এমনকি যে ব্যক্তি জ্যোতিষ শাস্ত্রের কোনো নিষিদ্ধ বিষয় শিখবে, সে জাদুবিদ্যার এক অংশ শিখছে বলে বিবেচিত হবে (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩৭২৬)।
অতএব, ইসলাম অনুসারে জ্যোতিষশাস্ত্র এবং এর সঙ্গে সম্পর্কিত যেকোনো কিছু থেকে দূরে থাকা অত্যন্ত জরুরি। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সমস্ত গর্হিত কাজ থেকে বিরত থাকতে তওফিক দান করুন।