বৃহস্পতিবার
২৩শে জানুয়ারি, ২০২৫
৯ই মাঘ, ১৪৩১

আমরা জনতার পক্ষে সত্য বলি

সন্তানের জন্য নেক দোয়া: ইসলামের নির্দেশনা

Fresh News রিপোর্ট
জানুয়ারি ২১, ২০২৫
১০:৫৬ পূর্বাহ্ণ

সন্তান আল্লাহ তায়ালার এক মহান আশীর্বাদ এবং পার্থিব জীবনের সৌন্দর্য ও পরকালীন জীবনের সাফল্যের পাথেয়। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, “সম্পদ ও সন্তানাদি পার্থিব জীবনের সৌন্দর্য; স্থায়ী সৎকাজ তোমার প্রতিপালকের কাছে পুরস্কারপ্রাপ্তির জন্য শ্রেষ্ঠ এবং কাক্সিক্ষত হিসেবেও শ্রেষ্ঠতর” (সুরা কাহাফ : ৪৬)। এই আয়াত দ্বারা আল্লাহ তায়ালা আমাদের বুঝিয়েছেন যে, সন্তান শুধু দুনিয়ার সৌন্দর্য নয়, বরং পরকালীন জীবনে সৎকর্মের জন্যও তাদের মহত্ব রয়েছে।

এ কারণে সন্তানদের জন্য কখনো খারাপ বা বদ দোয়া করা উচিত নয়। মা-বাবার দোয়া সন্তানের জীবনে অনেক বড় প্রভাব ফেলে। ইসলামের শিক্ষা অনুযায়ী, সন্তানদের জন্য সবসময় ভালো দোয়া করা উচিত। রাগ কিংবা অতিশয় উদ্বেগের মুহূর্তে খারাপ কথা বা অভিশাপ দেওয়ার মাধ্যমে কোনো মা-বাবা তাদের সন্তানদের ক্ষতি করতে পারে। এক্ষেত্রে এক মুহূর্তের অসাবধানতায় এমন কিছু বলা যেতে পারে, যা সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। আর পরবর্তীতে এই ভুলের জন্য আফসোস করার কোনো সুযোগ থাকে না।

হজরত জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত একটি হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে, একদা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে এক সফরে ছিলেন। এক সাহাবি তার উটের উপর অভিশাপ দেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) তাকে তিরস্কার করে বলেন, “তুমি আমাদের কোনো অভিশপ্তের সঙ্গী করো না। তোমরা নিজেদের বিরুদ্ধে, তোমাদের সন্তান-সন্ততির বিরুদ্ধে এবং তোমাদের সম্পদের বিরুদ্ধে বদ দোয়া করো না।” (মুসলিম : ৭৭০৫) এই হাদিস থেকে প্রতিটি মুসলিমের কাছে স্পষ্ট নির্দেশনা আসে যে, কখনও রাগের মাথায় সন্তানের বিরুদ্ধে কিংবা নিজের বিরুদ্ধে খারাপ দোয়া করা উচিত নয়, কারণ সেই মুহূর্তে আল্লাহ যে দোয়া কবুল করেন, তা হতে পারে অপ্রত্যাশিত এবং ক্ষতিকর।

এছাড়া আল্লাহ তায়ালা কুরআনে বলেন, “তোমরা নিজ হাতে নিজেদের ধ্বংসে নিক্ষেপ করো না” (সুরা বাকারা : ১৯৫)। অর্থাৎ, নিজের এবং পরিবারের ক্ষতির জন্য আমরা কখনোই দায়ী হতে পারি না। মায়ের বা বাবার উচিত রাগের সময়েও সন্তানের জন্য ভালো এবং সাফল্যময় দোয়া করা, যাতে তাদের জীবনে শান্তি, সুখ এবং আল্লাহর রহমত বর্ষিত হয়।

অতএব, সন্তানের জন্য সবসময় নেক দোয়া করা উচিত। এতে তাদের জীবন হবে সুন্দর, সাফল্যময় এবং পরকালীন জীবনে আল্লাহর নিকট মর্যাদা লাভের উপযুক্ত।