কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জগতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে চীনা প্রতিষ্ঠান ‘ডিপসিক’। এর নতুন এআই অ্যাসিস্ট্যান্ট ‘আর-ওয়ান’ প্রযুক্তিপ্রেমীদের মনে জায়গা করে নিয়েছে, যা মার্কিন টেক জায়ান্টদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে।
২০২৩ সালে চীনের হ্যাংঝো শহরে যাত্রা শুরু করে ‘ডিপসিক’। তবে ২০২৪ সালে ‘আর-ওয়ান’ উন্মোচনের পর প্রতিষ্ঠানটি রাতারাতি জনপ্রিয়তা পায়। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং চীনে এটি দ্রুত জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছেছে, যার ফলে মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ারবাজারেও ধস নেমেছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ডিপসিকের সাফল্যের পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। প্রথমত, এটি সম্পূর্ণ ফ্রি পরিষেবা দিচ্ছে, যেখানে অন্যান্য এআই অ্যাসিস্ট্যান্টের জন্য অর্থ ব্যয় করতে হয়। দ্বিতীয়ত, এর ইন্টারফেস অত্যন্ত সহজ এবং ব্যবহারবান্ধব। তৃতীয়ত, এর পারফরম্যান্স উন্নত এবং এটি মানুষের চিন্তাভাবনার সঙ্গে বেশি মিল রেখে উত্তর দিতে পারে। সর্বোপরি, দ্রুতগতির প্রযুক্তির কারণে এটি প্রতিদ্বন্দ্বী সংস্থাগুলোর তুলনায় দ্রুত এবং কার্যকরভাবে কাজ করছে।
এদিকে, ডিপসিকের জনপ্রিয়তা মার্কিন প্রশাসনের মধ্যেও উদ্বেগ তৈরি করেছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘চীনা সংস্থার তৈরি ডিপসিক আমাদের প্রযুক্তি বাজারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের টেক জায়ান্টদের এখন ঘুম থেকে জেগে উঠতে হবে এবং প্রযুক্তির উন্নয়নে আরও মনোযোগ দিতে হবে।’
বিশ্বজুড়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বাজারে ডিপসিকের উত্থান যে প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ পাল্টে দিতে পারে, তা এখনই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।