নির্বাচন কমিশন (ইসি) বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার হালনাগাদের তথ্য সংগ্রহের কাজ শেষ করেছে। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। এবার প্রায় ৪৭ লাখ নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে, যার মধ্যে সাড়ে ১০ লাখ মৃত ভোটারকে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এএসএম হুমায়ুন কবীর জানিয়েছেন, এবার ১০ লাখ ৩৯ হাজার ২২০ জন মৃত ভোটারের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। অন্যদিকে, নতুন ভোটার হিসেবে অন্তর্ভুক্তির জন্য ৩৭ লাখ ৪৫ হাজার ৭৮৪ জনের তথ্য নেওয়া হয়েছে। তবে সোমবারের তথ্য যুক্ত হলে এই সংখ্যা আরও পরিবর্তন হতে পারে।
২০ জানুয়ারি থেকে ভোটার তালিকা হালনাগাদের জন্য তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করে নির্বাচন কমিশন। ৩ ফেব্রুয়ারি ছিল এই কার্যক্রমের শেষ দিন।
আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে ছবি তোলা, আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ স্ক্যানের কাজ, যা চলবে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত। ২০০৭-০৮ সালে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়নের পর এ পর্যন্ত ছয়বার ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০০৯-১০, ২০১২-১৩, ২০১৫-১৬, ২০১৭-১৮, ২০১৯-২০ ও ২০২২-২৩ সালে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
নতুন ভোটার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হতে হলে ১৭ ডিজিটের অনলাইন জন্মসনদের কপি, জাতীয়তা সনদ, নিকট আত্মীয়ের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ও বিদ্যুৎ বা গ্যাস বিলের কপি জমা দিতে হবে।
ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির সময় নাম, পিতামাতার নাম, জন্ম তারিখ ও ঠিকানা যথাযথভাবে দিতে হবে। কেউ দ্বৈতভাবে ভোটার হতে চাইলে আঙুলের ছাপের মাধ্যমে সহজেই শনাক্ত করা সম্ভব হবে এবং এটি আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ বলে সতর্ক করেছে নির্বাচন কমিশন।
সর্বশেষ হালনাগাদ অনুযায়ী, দেশে মোট ভোটার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার ১৬০ জন।