বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ঘটনায় কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার একটি বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার হন হোসেনপুর উপজেলার পুমদী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জলিল মিয়া। আদালতে তার জামিন নামঞ্জুর হওয়ার খবর শুনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন তার মা।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় ওই নারীকে। এর আগে রোববার রাতে হোসেনপুর উপজেলার পুমদী ইউনিয়নে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পুমদী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ২ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. শুক্কুর মাহমুদের ছেলে জলিল মিয়াকে গত ৪ জানুয়ারি গভীর রাতে আদু মাস্টারের বাজারে তার নিজ দোকান থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পরে কিশোরগঞ্জ সদর থানার একটি বিস্ফোরক মামলায় অভিযুক্ত করে আদালতে সোপর্দ করা হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে বন্দি রয়েছেন।
গতকাল আদালতে তার জামিন শুনানি ছিল। ছেলের মুক্তির আশায় অপেক্ষায় ছিলেন তার মা। কিন্তু জামিন না মঞ্জুর হওয়ার খবর শুনে রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি এবং হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা জলিলের পিতা শুক্কুর মাহমুদ জানান, উকিলের সঙ্গে পরামর্শ করে তারা ছেলের জামিনের ব্যাপারে আশাবাদী ছিলেন। কিন্তু জামিন না মঞ্জুরের খবর শুনে তার স্ত্রী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
এ বিষয়ে হোসেনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ হোসেন বলেন, “লোকে মুখে শুনেছি একজন মারা গিয়েছেন। প্রতিটি মৃত্যুই বেদনাদায়ক।”