অনেক মানুষ অজান্তেই গোপন পাপে জড়িয়ে পড়েন, যা তাদের দুনিয়া ও পরকালকে ধ্বংস করে ফেলে। রাসুলুল্লাহ (সা.) এক hadis-এ বলেন, ‘আমি আমার উম্মতের কিছু লোক সম্পর্কে জানি, যারা কেয়ামতের দিন তাদের নেক আমল নিয়ে উপস্থিত হবে। কিন্তু আল্লাহ সেগুলোকে বিক্ষিপ্ত ধূলিকণায় পরিণত করবেন।’ (ইবনে মাজাহ: ২/১৪১৮)। রাসুল (সা.) বলেন, তারা তোমাদেরই সম্প্রদায়ভুক্ত, যারা রাতের বেলায় ইবাদত করবে, কিন্তু গোপনে হারাম কাজ করবে। এর থেকে মুক্ত থাকা খুবই জরুরি, এবং কিছু পন্থা অনুসরণ করলে পুণ্যবিনাশী পাপ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
প্রথমত, প্রতিটি মুহূর্তে মনে রাখতে হবে যে, আল্লাহ আমাদের দেখছেন। আমাদের প্রতিটি কাজ, প্রতিটি মুহূর্ত আল্লাহর সামনে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের ওপর পর্যবেক্ষক।’ (সুরা নিসা : ১)
দ্বিতীয়ত, অন্তরের সঙ্গে মুজাহাদা করা, তার খারাপ কুমন্ত্রণা দূর করা এবং আল্লাহর আনুগত্যে অন্তরকে পরিশুদ্ধ করার চেষ্টা করা। আল্লাহ বলেন, ‘যে নিজেকে পরিশুদ্ধ করে, সে সফলকাম হয়। আর যে নিজেকে কলুষিত করে, সে ব্যর্থ হয়।’ (সুরা শামস : ৭-১০)
তৃতীয়ত, গুনাহের দিকে ধাবিত হওয়ার রাস্তাগুলো বন্ধ করা। একাকী না থেকে, পরিবার এবং প্রিয়জনদের সঙ্গে সময় কাটানো উচিত। স্ত্রীর মাধ্যমে নিজের পরিশুদ্ধি অর্জন করা এবং তাকে হালাল পথে পরিচালিত করা। নিজের ইচ্ছাকে নিয়ন্ত্রণ করতে শয়তানকে সুযোগ না দেওয়া, বরং হালাল পথে চলার চেষ্টা করা।
চতুর্থত, দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণকর কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখা। কারণ অবসর সময়ই মানুষের ক্ষতির কারণ হতে পারে।
পঞ্চমত, আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দোয়া করা এবং কান্নাকাটি করা, যেন আল্লাহ নাফরমানি, গুনাহ ও শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে আমাদের হেফাজত করেন। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আমি তো রয়েছি সন্নিকটেই। যারা প্রার্থনা করে, তাদের প্রার্থনা কবুল করি, যখন তারা আমার কাছে প্রার্থনা করে।’ (সুরা বাকারা : ১৮৬)
এসব উপায় অনুসরণ করে গোপন পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। আল্লাহ সবাইকে বুঝার ও মানার তাওফিক দান করুন।