দীর্ঘ ১৭ বছর পর লিওনেল মেসিকে ছাড়াই ফিফার বর্ষসেরা একাদশ ঘোষণা করা হয়েছে। একইসঙ্গে এই তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোও। ফুটবল ইতিহাসে মেসি-রোনালদো যুগের আধিপত্যে এমন বিরতি ফুটবলবিশ্বে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
২০২৪ সালের ফিফপ্রো বর্ষসেরা একাদশ ঘোষণার আগে, সংক্ষিপ্ত তালিকায় মেসি-রোনালদো স্থান পেলেও, চূড়ান্ত একাদশে জায়গা হয়নি তাদের। এবার একাদশটি মূলত দুই ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ ও ম্যানচেস্টার সিটির খেলোয়াড়দের নিয়েই গঠিত হয়েছে।
পুরুষদের বর্ষসেরা একাদশে রিয়াল-সিটির আধিপত্য
১১ সদস্যের একাদশে রিয়াল মাদ্রিদ থেকে ছয়জন এবং ম্যানচেস্টার সিটি থেকে চারজন জায়গা পেয়েছেন। একমাত্র ব্যতিক্রম লিভারপুলের ভার্জিল ভ্যান ডাইক। রিয়ালের প্রতিনিধিত্বকারী খেলোয়াড়দের মধ্যে রয়েছেন দানি কারভাহাল, আন্তনিও রুডিগার, জুড বেলিংহাম, কিলিয়ান এমবাপ্পে, ভিনিসিয়ুস জুনিয়র এবং সদ্য অবসর নেওয়া টনি ক্রুস। অন্যদিকে, সিটির প্রতিনিধিত্ব করেছেন এডারসন মোয়ারেস, কেভিন ডি ব্রুইনা, আর্লিং হলান্ড ও রদ্রি।
মেয়েদের বর্ষসেরা একাদশে নতুন নাম
একই দিনে মেয়েদের বর্ষসেরা একাদশও ঘোষণা করেছে ফিফপ্রো। একাদশে ইংল্যান্ডের মেরি ইয়ার্পস, লুসি ব্রোঞ্জ এবং অ্যালেক্স গ্রিনউডের মতো তারকারা স্থান পেয়েছেন। বার্সেলোনা থেকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন আইতানা বোনমাতি, অ্যালেক্সিয়া পুতেয়াস এবং কিরা ওয়ালশ। ফরোয়ার্ড লাইনে জায়গা পেয়েছেন বারব্রা বান্দা, লিন্ডা কাইসেদো, লরেন জেমস এবং ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি মার্তা।
ফুটবলারদের ভোটে নির্বাচিত
ফিফপ্রোর সেরা একাদশ গঠনে অংশ নিয়েছেন বিশ্বের ৭০টি দেশের ২৮ হাজারের বেশি পেশাদার ফুটবলার। ২০২৩ সালের ২১ আগস্ট থেকে ২০২৪ সালের ১৪ জুলাই পর্যন্ত যারা অন্তত ৩০টি ম্যাচ খেলেছেন, তারাই বিবেচিত হয়েছেন।
মেসি-রোনালদোর যুগের অবসান?
২০০৬ সালের পর এই প্রথম মেসিকে ছাড়াই বর্ষসেরা একাদশ গঠিত হলো। রোনালদোও বাদ পড়ায় ফুটবলবিশ্বে প্রশ্ন উঠছে—এটি কি তাদের দীর্ঘ আধিপত্যের অবসানের সূচনা? নতুন প্রজন্মের ফুটবলারদের উত্থানে কি শেষ হলো দুই মহাতারকার যুগ?
সময়ের উত্তর দেবে, তবে এ বছরের একাদশের মাধ্যমে ফুটবলে নতুন ধারা পরিলক্ষিত হচ্ছে।