মঙ্গলবার
২৫শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
১২ই ফাল্গুন, ১৪৩১

আমরা জনতার পক্ষে সত্য বলি

জনপ্রিয় হচ্ছে রাইস ট্রান্স প্ল্যান্টারের মাধ্যমে সমলয়ে ধান রোপণ

Fresh News রিপোর্ট
ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৫
৯:১৯ পূর্বাহ্ণ

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে কৃষকদের মধ্যে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে রাইস ট্রান্স প্ল্যান্টারের মাধ্যমে সমলয়ে ধানের চারা রোপণ পদ্ধতি। কৃষি শ্রমিকের প্রয়োজন কম হওয়ায় এবং উৎপাদন খরচ সাশ্রয়ী হওয়ায় কৃষকরা দিন দিন এই আধুনিক প্রযুক্তির দিকে ঝুঁকছেন।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, রাইস ট্রান্স প্ল্যান্টারের মাধ্যমে ধানের চারা নির্দিষ্ট দূরত্বে ও সঠিক নিয়মে রোপণ করা হয়। ফলে বীজের অপচয় কম হয় এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে অধিক জমিতে চারা রোপণ সম্ভব হয়। এতে করে কৃষি শ্রমিকের চাহিদা কমে যায় এবং খরচও কম হয়, যা কৃষকদের জন্য লাভজনক।

উপজেলা কৃষি বিভাগ কৃষকদের প্রযুক্তিগত পরামর্শ ও সহায়তা দিচ্ছে। কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় কৃষকদের সমলয়ে চাষে উদ্বুদ্ধ করতে বুধবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সিব্বির আহমেদের সভাপতিত্বে সমলয়ে চাষাবাদের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন। আরও উপস্থিত ছিলেন উপ-পরিচালক (শস্য) আসাদুজ্জামান খান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার হোসেন, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার ফিরোজ হোসেন এবং ভিতরবন্দ ইউপি চেয়ারম্যান শফিউল আলম শফি।

ভাঙ্গামোড় এলাকার কৃষক লাভলু মিয়া জানান, কৃষি শ্রমিক সংকটের কারণে অনেক সময় ধানের চারা রোপণে দেরি হয়। কিন্তু রাইস ট্রান্স প্ল্যান্টারের সাহায্যে তিনি কম সময়ে ও কম খরচে চারা রোপণ করতে পারছেন, যা তার জন্য অত্যন্ত লাভজনক।

রাইস ট্রান্স প্ল্যান্টারের চালক ফেরদৌস হোসেন জানান, এই যন্ত্রের সাহায্যে মাত্র ৪৫ মিনিটে এক বিঘা জমিতে চারা রোপণ করা সম্ভব। এতে প্রতি বিঘায় মাত্র ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ডিজেল খরচ হয়, যা প্রচলিত পদ্ধতির তুলনায় বেশ সাশ্রয়ী।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “রাইস ট্রান্স প্ল্যান্টার কৃষকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি, যা সময় ও উৎপাদন খরচ কমিয়ে তাদের আরও লাভবান করবে। আমরা কৃষকদের যান্ত্রিক চাষাবাদে উদ্বুদ্ধ করছি, যাতে তারা কৃষি খাতে নতুন প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পারে।”