গাজা, লেবানন এবং সিরিয়ায় ইসরায়েলি সেনারা অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান করবে বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাতজ। তার এই ঘোষণায় হামাসের সঙ্গে সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির আলোচনায় নতুন করে বাধা সৃষ্টি হতে পারে।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) দেওয়া এক বিবৃতিতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ইসরায়েলি সেনারা যেসব এলাকা ‘পরিষ্কার’ করেছে, সেখান থেকে আর সরে যাবে না। বরং গাজা, লেবানন এবং সিরিয়ার কথিত ‘নিরাপত্তা অঞ্চলগুলোতে’ তারা অস্থায়ী অথবা স্থায়ীভাবে মোতায়েন থাকবে। এসব অঞ্চল ইসরায়েলি বসতি এবং শত্রুদের মধ্যে ‘বাফার জোন’ হিসেবে কাজ করবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে ফিলিস্তিন ও প্রতিবেশী দেশগুলো ইসরায়েলের এই অবস্থানকে আন্তর্জাতিক আইনে অবৈধ দখল হিসেবে বিবেচনা করছে। হামাসও স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, যতক্ষণ না ইসরায়েল সেনা প্রত্যাহার এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হবে, ততক্ষণ তারা কোনো ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে না।
প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইসরায়েলি জিম্মিদের পরিবার। এক বিবৃতিতে তারা বলেন, “সরকার বলেছিল জিম্মিরা সবার আগে, কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে ভূমি দখলই সরকারে অগ্রাধিকার। আমরা চাই সব জিম্মি যেন চুক্তির মাধ্যমে দ্রুত মুক্তি পায়, তা স্থায়ী যুদ্ধবিরতির মাধ্যমেও যদি হয়।”
বিশ্লেষকদের মতে, প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এই ঘোষণা মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর প্রচেষ্টাকে কঠিন করে তুলবে এবং যুদ্ধবিরতির আশার পথ আরও অনিশ্চিত হতে পারে।