দেশ গঠনের দায়িত্ব আমাদের নিজেদের কাঁধেই নিতে হবে, বাইরের কেউ এসে তা করে দিয়ে যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আমেরিকা থেকে ট্রাম্প, চীন থেকে শি কিংবা ভারত থেকে মোদি এসে আমাদের ভবিষ্যৎ নির্মাণ করবে না। এই উপলব্ধি সবার মধ্যে থাকতে হবে।
শনিবার রাজধানীর বসুন্ধরায় নর্থ-সাউথ ইউনিভার্সিটিতে রাষ্ট্রদূত সিরাজুল ইসলামের দৃষ্টিতে ‘ক্ষমতায়ন : বাংলাদেশ, নেতৃত্ব-ঐক্য এবং প্রবৃদ্ধির পথে কূটনীতি-শাসনব্যবস্থা রূপান্তর’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, চারদিকে হতাশা ছড়িয়ে পড়ছে, টকশো, বক্তৃতা, বিশ্লেষণে মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছে— এত রক্তপাত, ত্যাগ-তিতিক্ষা, তবু মানুষ ভাবছে এর শেষ কোথায়? কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, ভালো কিছু হবেই। বাংলাদেশের মানুষ বরাবরই লড়াই করেছে, জয় ছিনিয়ে এনেছে। আর এই বিজয়ের প্রধান শক্তি হচ্ছে তরুণরা। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক আন্দোলন পর্যন্ত তরুণরাই ছিল পথপ্রদর্শক।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের আগে মতাদর্শগত ভিন্নতা থাকলেও স্বাধীনতার জন্য সবাই এক হয়েছিল। আজও একইভাবে দেশের গণতন্ত্র ও অধিকার আদায়ে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। যখন ছাত্রদের ওপর গুলি হয়েছে, তখন সবাই রাস্তায় নেমেছে। এই ঐক্যই আমাদের পথ দেখাবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা অনেক দূর এগিয়ে গেছি। ড. ইউনূস দায়িত্ব নিয়েছেন, আমরা তাকে ধন্যবাদ জানাই। তাকে সহায়তা করে আমাদের নিজেদের ভবিষ্যৎ নিজেরা গড়ে তুলতে হবে। গণতন্ত্র চাপিয়ে দেওয়া যায় না, গণতন্ত্র চর্চা করতে হয়। গণতন্ত্র ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাষ্ট্রদূত সিরাজুল ইসলামের কন্যা সাবরিনা ইসলাম রহমান।