রবিবার
২০শে এপ্রিল, ২০২৫
৭ই বৈশাখ, ১৪৩২

আমরা জনতার পক্ষে সত্য বলি

সংশোধন ও বিচার ছাড়া নির্বাচন নয়, সময়ও বাড়ানো যাবে না

Fresh News রিপোর্ট
এপ্রিল ১৭, ২০২৫
৭:৩২ অপরাহ্ণ

দেশে সুষ্ঠু ও প্রশ্নবিদ্ধহীন নির্বাচন আয়োজনে সংস্কার এবং বিচারের নিশ্চয়তা দিতে হবে—এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, নির্বাচন যেন গ্রহণযোগ্য হয় এবং কারও কাছে প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, সেইভাবে আয়োজন করতে হবে।

বৃহস্পতিবার ঢাকার একটি হোটেলে ইউরোপ সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সেখানে তিনি জানান, সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ইউরোপীয় কমিশন, ইউরোপীয় কাউন্সিলসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার সঙ্গে জামায়াত প্রতিনিধিদলের বৈঠক হয়েছে। সফরের উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতা ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদার করা।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ইউরোপের বিভিন্ন দেশ নির্বাচনী সংস্কার, জাতীয় ঐক্য এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিষয়ে যেসব ব্যবস্থা নিয়েছে, সেগুলোর অভিজ্ঞতা থেকে বাংলাদেশ উপকৃত হতে পারে। তিনি ইউরোপের দেশগুলোকে বাংলাদেশে বিনিয়োগেরও আহ্বান জানান।

জামায়াত আমির জানান, তাদের দৃষ্টিতে নির্বাচন হতে হলে তিনটি বিষয় অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে—প্রথমত, দৃশ্যমান ও গ্রহণযোগ্য রাজনৈতিক সংস্কার; দ্বিতীয়ত, যেসব হত্যাকাণ্ড ও নিপীড়ন হয়েছে, সেগুলোর নিরপেক্ষ বিচার; এবং তৃতীয়ত, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও আস্থার পরিবেশ তৈরি।

তিনি বলেন, নির্বাচন যাতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, সেই লক্ষ্যে সরকার, রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সক্রিয় ভূমিকা প্রয়োজন। তবে এই প্রক্রিয়া যেন দীর্ঘায়িত না হয়, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণার বিষয়ে জামায়াত আমির বলেন, ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের সময়সীমা রাখা হলেও তারা মনে করেন, এই সময়ের সীমা অতিক্রম করা যাবে না। সকল শর্ত পূরণ হলেই নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই নির্বাচন সম্ভব।

আগামী নির্বাচনের বিষয়ে জনগণের ওপর আস্থা রেখে তিনি বলেন, জনগণ যাদের বিশ্বাস করবে, তারাই দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পাবে। বিরোধীরা সরকারের ভালো কাজে সহযোগিতা করবে এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাবে—এটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য।

সংবাদ সম্মেলনে দলটির শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন এবং সব রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের প্রতি আহ্বান জানানো হয়, যেন সকলে মিলে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনী পরিবেশ গঠনে কাজ করে।